Sunday, January 15, 2012

মোটামুটি এক শিক্ষিত গৃহবধু তার স্বামীকে চিঠি লিখেছে

মোটামুটি এক শিক্ষিত গৃহবধু তার স্বামীকে চিঠি লিখেছে। সে যতিচিন্যের ব্যবহার ঠিক ভাবে জানে না। আসল চিঠিটি হবে এইরকম-
প্রিয় কুদ্দুস,
তুমি সারাটা জীবন বিদেশে কাটাইলে। এই ছিল আমার কপালে। আমার পা ফুলিয়া উঠিয়াছে। উঠানটা জলে ডুবিয়া গিয়াছে। ছোট খোকা স্কুলে যাইতে চায় না। ছাগল ছানাটা সারাদিন ঘাস খাইয়া ঝিমাইতেছে। তোমার বাবা পেটের অসুখে ভুগিতেছে। বাগানটা আমে ভরিয়া উঠিয়াছে। ঘরের ছাদ স্থানে স্থানে ফুটা হইয়া গিয়াছে। গাভির পেট দেখে মনে হয় বাচ্চা দিবে। করিমের বাপ রোজ ২ সের করিয়া দুধ দেয়। বড় বউ রান্না করিতে গিয়া হাত পুরাইয়া ফেলিয়াছে। কুকুর ছানাটি সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে। বড় খোকা দাড়ি কাটিতে গিয়া গাল কাটিয়া ফেলিয়াছে। মজিদের মা প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে। মজিদের বাপ বার বার ফিট হইয়া যাইতেছেন। ডাক্তার সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন। এমতাবস্থায় তুমি অবশ্যয় বাড়ি ফিরিবে। না ফিরিলে রাগ করিব।
ইতি
তোমার বউ!

যেহেতু সে যতিচিন্যের ব্যবহার ঠিক ভাবে জানে না, সে সব কিছু উল্টা-পাল্টা করে ফেলল। তার চিঠিটি হয়ে গেল নিম্নরুপ-

প্রিয় কুদ্দুস,
তুমি সারাটা জীবন বিদেশে কাটাইলে এই ছিল। আমার কপালে আমার পা। ফুলিয়া উঠিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবিয়া গিয়াছে ছোট খোকা। স্কুলে যাইতে চায় না ছাগল ছানাটা। সারাদিন ঘাস খাইয়া ঝিমাইতেছেন তোমার বাবা। পেটের অসুখে ভুগিতেছে বাগানটা। আমে ভরিয়া উঠিয়াছে ঘরের ছাদ। স্থানে স্থানে ফুটা হইয়া গিয়াছে গাভির পেট। দেখে মনে হয় বাচ্চা দিবে করিমের বাপ। রোজ ২ সের করিয়া দুধ দেয় বড় বউ। রান্না করিতে গিয়া হাত পুরাইয়া ফেলিয়াছে কুকুর ছানাটি। সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে বড় খোকা। দাড়ি কাটিতে গিয়া গাল কাটিয়া ফেলিয়াছে মজিদের মা। প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে মজিদের বাপ। বার বার ফিট হইয়া যাইতেছেন ডাক্তার। সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন। এমতাবস্থায় তুমি অবশ্যয় বাড়ি ফিরিবে না। ফিরিলে রাগ করিব।
ইতি
তোমার বউ

No comments:

Post a Comment