Tuesday, November 22, 2011

All graduate girl and boy friends

নিলা আর রাজ পাশাপাশি একটি পার্কে বসে আছে। নিলা বলল ...
তোমার কি কিছুই বলার নাই?
কি বলব?
তুমি কি বুঝতে পারছোনা যে বাসায় আমার বিয়ে ঠিক করেছে ?
আমি কি করব?
তুমি কি করবে মানে? প্রস্তাব পাঠাবে!
আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। সরি ...
সরি? আমাদের ৫ বছরের রিলেশন রাজ আর তুমি বলছ যে আমাকে বিয়ে করতে পারবে না সরি? তুমি এইতা করতে পারো না রাজ। এইটা ঠিক না।
আমার আর কিছু বলার নাই ... এই বলে রাজ উঠে চলে গেল। নিলা ওকে অনেক ডাকল বাট রাজ ফিরেও তাকাল না।
রাজ এর আচরনে ক্ষোভে দুঃখে নিলা তার বাবা মা এর পছন্দ করা পাত্রকেই বিয়ে করে।
তিন মাস পর। নিলা অর স্বামী নিয়ে সুখেই আছে। ওর শ্বশুর-শাশুড়ি ওকে নিজের মেয়ের মতই ভালোবাসে। রাজকে ও মোটামুটি ভুলেই গেছে।
একদিন নিলার এক বান্ধবী জুই নিলাকে ফোন করে ওর সাথে দেখা করতে বলল।
কি হয়েছে রে এত্ত জরুরি তলব? নিলা বলল
তোকে আমার সাথে এক যায়গায় যেতে হবে। গারিতে ওঠ।
কোথায়?
গেলেই দেখতে পাবি।
নিলা দেখল সে একটি হসপিটালের সামনে দারিয়েআছে।
কি ব্যপার তুই আমাকে এইখানে ক্যান নিয়ে আসলি?
আগে চল সব বুঝতে পারবি।
নিলা একটি রুম এর সামনে এসে দাড়াতেই চমকে উঠলো।
রাজ তুমি? কি হয়েছে তোমার? জুই রাজ এর কি হয়েছে? তোরা কেউ কিছু বলছিস না ক্যান?
তুই ওকে ক্যান এইখানে নিয়ে আসলি? রাজ জুই কে বলল।
নিলার সত্যটা জানা দরকার। নিলা তুই জানিস ওতোকে ক্যান বিয়ে করেনি কারণ ওর ক্যান্সার।
কি? তোরা কেউ আমাকে কিছু বলিস নি ক্যান?
আমি নিষেধ করেছিলাম। রাজ বলল। সরি নিলা আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু তোমার চেয়ে বেশি কষ্ট আমি পেয়েছি বিশ্বাস কর। আমি তোমাকে কি করে বিয়ে করতাম বল আমার যে ক্যান্সার ধরা পরেছে। আমার জীবনের আয়ু যে অল্প কয়েক দিনের। আমিতোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। তোমার জীবনটাকি করে নষ্ট করি বল। তাই তোমাকে কিছু বলিনি। অন্যদের কেউ বলতে দেইনি। আমি তোমাকে মরার আগে সুখি দেখতে চেয়েছি। চেয়েছি তোমার লাইফ এ এমনকেউ আসুক যে তোমাকে আমারচেয়েও বেশি ভালবাসবে। আমার অভাব দূর করবে। আর আমি তাতে সফল। আমি তোমারবিষয়ে সব খবর ই পাই। তোমাকে মরার আগে একবার দেখার ইচ্ছা ছিল। তুমি চলে যাও নিলা আর ভালো থেকো।
নিলা রুম থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা হল। ওর চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। ওর খুব কাদতে ইচ্ছা করছে কিন্তু পারলো না।
পরিশিষ্টঃ
২০ বছর পর। আজ রাজের মৃত্যুর ২০ বছর হয়ে গেছে।
নিলার এক ছেলে আর এক মেয়ে হয়েছে। ওরা এখন বাহিরে পড়ালেখা করে। জীবনের সব কিছুই চেঞ্জ হয়ে গেছে কিন্তু আজও সে রাজ কে ভুলতে পারেনি। পারেনি ওর মৃত্যুর তারিখ টা ভুলতে।

No comments:

Post a Comment