... ফারাক্কা চালু থাকলে জৈবিকভাবে আমাদের জাতির অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। একটা নিরীহ কুকুর, একটা বেড়ালকে আক্রমণ করলেও সে প্রাণীটি আত্মরক্ষার তাগিদে ফুঁসে ওঠে।
কিন্তু বাংলাদেশের ১২ কোটি মানুষ(১৯৯৪) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফারাক্কার চিতায় সর্বাংশে দগ্ধ হবার ছবিটি দেখছে। মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি যুদ্ধ করে পানির উপর তাদের হিস্যার দাবি প্রতিষ্ঠিত করার কথা চিন্তাও করতে পারছে না।
এর প্রধান কারণ এই নয় যে, আমাদের জাতি লড়াকু নয়,
লড়াই করার স্পৃহা ও স্পর্ধা আমাদের জনগণের নেই।
নেতিবাচক রাজনীতিই আমাদের জনগণের মন থেকে স্বাভাবিক অধিকারবোধটুকু হরণ করে নিয়েছে। যাদের ফসল নষ্ট হচ্ছে,
যাদের জমিতে খরা আক্রমণ হচ্ছে,
যে জমিতে লবণাক্ততা ঢুকছে,
যে মাঝি জীবিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,
যে চাষী ঘরে ফসল তুলতে পারছে না,
যে জেলে নিরুপায় বুকে হাত দিয়ে বসে আছে,
ভারতীয় জলজল্লাদদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ডাক দিলে,
একবার নয় বারবার এ জনগণ ছুটে আসবে।
১৯৭৬ সালে এ জাতির পিতামহ বিশ্বপ্রতীম প্রাণপুরুষ মওলানা ভাসানী
ডাক দিয়ে এ সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।
------- আহমদ ছফা
কয়দিনপর টিপাইমুখে কথা কি হবে ??? এখানে মাওলানা ভাসানী কে কোথায় পাব ??
No comments:
Post a Comment