Thursday, November 22, 2012

প্রকৌশলী স্বামীর এ কোন বর্বরতা!


স্টোররুমে ১৩ দিন তালাবদ্ধ গৃহবধু বাংলাদেশের আনাচে কানাচে প্রতিনিয়ত ধ্বনিত হচ্ছে শত শত নির্যাতিতা নারীর ক্রন্দন। এই নির্যাতনের সিংহভাগের খবর আমরা জানতে পারি না, কারণ এই নির্যাতন হয়ে থাকে গৃহের অভ্যন্তরে যেখানে গণমাধ্যমের দৃষ্টি পৌঁছে না। তারা চিরাচরিত বাঙালী সংস্কারের বেড়া ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে না পেরে নির্যাতনের শিকার হয়েই জীবন কাটিয়ে দেন। ধারণা প্রচলিত আছে যে, শিক্ষাহীন সমাজে নারী নির্যাতনের হার অধিক, কিন্তু বাস্তবতা কি তাই বলে? নারী সর্বত্রই নির্যাতিত। কেবল পার্থক্য হচ্ছে শিক্ষিত পুরুষ সমাজ তাদের শিক্ষার মোড়কে তাদের পাশবিকতাকে আড়াল করার কায়দা জানেন। এসবের বেড়া ভেঙ্গে দু’একজন নারীর পক্ষেই সম্ভব হয় মুক্ত আকাশের নিচে বেরিয়ে আসা। সেই নারীদের একজন আয়নুন নাহার রত্না। আয়নুন নাহার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন, তার স্বামী মো: মুমিনুল হক একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। ১৯৯৭ সনে ভালোবেসে সংসার বেঁধেছিলেন তারা দু’জন। কিন্তু কিছুদিন যেতেই স্বপ্নভঙ্গ হয় আয়নুন নাহারের। স্বামী প্রকৌশলী হলে কি হবে, সে একজন মাদকসেবী, সে এবং তার বন্ধুরা বিভিন্ন প্রকারের নেশায় অভ্যস্ত। নেশা করেই তার জীবনী শক্তি নিঃশেষিত। চাকুরী ব্যবসা ও সুস্থ জীবন যাপন করা সুদূর পরাহত। এই নেশার জগত থেকে তাকে ফেরাতে চেষ্টা করলেই সে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত এবং চড়, কিল, ঘুসি, লাথি অর্থাৎ যতরকমে সম্ভব নির্যাতন করত। মুমিনুল হক অত্যন্ত উগ্র স্বভাবের বদরাগী চরিত্রের মানুষ। যে কোন কিছু নিয়ে মনোমালিন্য হলেই সে এমন ক্ষিপ্ত হয়ে যেত যে রত্নাকে গলাটিপে মেরে ফেলারও চেষ্টা করত। কখনো কখনো রাতের অন্ধকারে মারধোর করে ঘর থেকে বের করে দিত। রত্না বহুবার পাবিরিকভাবে বিষয়টির সুরাহা করার চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন ফল হয় নি। অতিরিক্ত মাদকাসক্তির কারণে তাকে ২০০৩ সালে চট্টগ্রামের “আলো” নামক মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে তিন মাসের জন্য ভর্তি করা হয়, কিন্তু সে একমাস পরেই সকলের অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাসপাতাল ছেড়ে চলে আসে। ফলে সে মাদকাসক্তই থেকে যায় এবং রত্নার উপর নির্যাতন অব্যাহত থাকে। এভাবেই দীর্ঘ পনের বছর ধরে অসহায় রত্না নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আসছে। উল্লেখ্য, মুমিনুল হকের বহু বদগুণের মধ্যে একটি ছিল পরনারীতে আসক্তি। এ নিয়েও তাদের মধ্যে বিবাদ হত। এরই মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। সন্তানদের কথা বিবেচনা করেও মুমিনুল হকের চরিত্রে কোন পরিবর্তন আসে না। ২০১০ এর এপ্রিল মাসে রত্না হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী’র লিখিত বই পড়ে প্রকৃত এসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন এবং হেযবুত তওহীদ নিষিদ্ধ কোন দল নয় এবং কোন আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় জেনে-বুঝে তিনি এ আন্দোলনে যোগদান করেন। মানুষের আত্মার, চরিত্রের পরিশুদ্ধির মাধ্যমেই প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব। তাই রত্নার স্বামীকে দুঃশ্চরিত্র ও অপকর্ম থেকে ফেরানোর জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা প্রচেষ্টা করেন, তাকে ধর্মীয় রীতি-নীতি, অনুশাসন মেনে সুস্থ জীবন যাপন করার জন্যও উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। এক সময় তার স্বামীও হেযবুত তওহীদে যোগ দেয়। এই আন্দোলনের সদস্যদের সান্নিধ্যে এসে কয়েকদিনের জন্য সে মাদকসেবন থেকে বিরত থাকে, তারপর আবার আগের মতই পুরাতন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মাদক গ্রহণ করতে আরম্ভ করে। এ নিয়ে রত্নার সঙ্গে তার মনোমালিন্য পূর্বের আকার ধারণ করে এবং তার মাদকাসক্ত বন্ধু-বান্ধব ত্যাগ করার কথা বলায় রাগ করে সে হেযবুত তওহীদই ত্যাগ করে কেননা হেযবুত তওহীদের একটা নীতি হল এসলামিক ও রাষ্ট্রীয় আইনের পরিপন্থি এবং অনৈতিক কোন কাজ করা যাবে না। গত ৩১ আগস্ট ২০১২ ইং তারিখ রাতে বাড়িতে বসে মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় সে রত্নাকে মারধোর করে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং আইনের আশ্রয় গ্রহণ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রত্না তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। নিরাপত্তার স্বার্থে পরদিন ০১/০৯/২০১২ ইং তারিখে চট্টগ্রাম ডাবল মুরিং থানায় রত্না একটি সাধারণ ডাইরি রুজু করেন যার নম্বর- ১১, তাং- ০১/০৯/২০১২ ইং। পরের দিন পাষণ্ড স্বামী ৪/৫ জন গুণ্ডা-পাণ্ডা বন্ধু নিয়ে রাতে রত্নার পিত্রালয়ে যায় এবং রত্নাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে আনার চেষ্টা করে কিন্তু পরিবারের বাধার কারণে সক্ষম হয় না। এ ঘটনা নিয়ে রত্না হালিশহর থানায় ঐদিনই আরেকটি সাধারণ ডাইরি রজু করেন যার নং- ৬৬, তাং- ০২/০৯/২০১২ ইং। রত্না নিজ পায়ে দাঁড়ানোর অভিপ্রায়ে বি এন্ড এইচ এ্যাপারেলস লিমিটেড নামক একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে সহকারী মার্চেন্ডাইজার হিসাবে যোগদান করেন। গত ১০/১০/১২ তারিখে তিনি তার চাকুরীস্থল থেকে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে এসি মসজিদ নামে পরিচিত মসজিদের সামনে পৌঁছালে পাষণ্ড স্বামী ৫/৬ জন গুণ্ডা পাণ্ডাসহ রত্নাকে রিক্সা থেকে জোর করে নামিয়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকিয়ে দেয় এবং গাড়ির ভেতরেই তকে এত বেশি মারধোর করে যে হাত-পাসহ শরীরের অধিকাংশ স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। বাসায় নিয়েও তাকে উপর্যুপরি চড়, লাথি, ঘুসি ইত্যাদি মারধোর করে নোংরা সঙ্কীর্ণ স্টোর রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। এভাবে তাকে তেরদিন বন্দী করে রাখে। প্রতিদিন সময়ে অসময়ে তাকে অমানবিক শারীরীক নির্যাতন করত। তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে তার মাথায় নিয়মিতভাবে প্রচণ্ড আঘাত করত এবং চুলের মুঠি ধরে তার মাথা দেয়ালের সাথে অনবরত সজোরে ঠুকে দিত। এই উদ্দেশ্যে সে একদিন রত্নাকে অজানা ইনজেকশনও দেয়। মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতনের ফলে এ কদিন তিনি কিছুই প্রায় খেতে পারেন না। অতঃপর রত্নার মেঝ বোন কামরুন্নাহার স্বপ্না রত্নাকে উদ্ধারের নিমিত্তে ২৩ অক্টোবর উপ-পুলিস কমিশনার, চট্টগ্রামের নিকট যান। তার নির্দেশে চট্টগ্রাম, ডাবলমুরিং থানা থেকে পুলিস ফোর্স এসে রত্নাকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে বন্দী, আহত ও মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর মুখে স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে, তেরদিন স্টোররুমে আটকিয়ে রাখে, মস্তিষ্কবিকৃত করার চেষ্টা করে, অবশেষে পুলিস ফোর্স গিয়ে উদ্ধার করতে হয়, সে আর যাই হোক স্বামী হতে পারে না। এই বর্বর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে থানা প্রথমে রাজি হলেও পরে গড়িমসি শুরু করে। থানার মধ্যে পুলিসের সামনেই মুমিনুল হক রত্নাকে মারতে আসে এবং তাকে ও তার বোনকে হত্যার হুমকি দেয়। অত্যাচারী স্বামী ধনাঢ্য হওয়ায় থানা তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নিতে চায় না। তারা নিরাপত্তার স্বার্থে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন। পথিমধ্যে ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, অতঃপর ঢাকায় তাদের আত্মীয় স্বজনদের নিকট যান। কিন্তু সন্ত্রাসী মুমিনুল হকের ভয়ে কোন আত্মীয় তাদের ১/২ রাতের বেশি আশ্রয় দেওয়ার সাহস করেন নাই। এত নির্যাতন করেও ক্ষান্ত হয় না মুমিন। সে সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আরম্ভ করে এবং তাদেরকে নানারকম মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সেগুলি পত্রিকা ও টিভিতে প্রচারের উদ্যোগ নেয়। এতে সে যথেষ্ট সফলও হয়। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয় যে, আইনুন নাহার রত্না হেযবুত তওহীদের আত্মঘাতি স্কোয়াডে যোগ দেওয়ার জন্য স্বামী সংসার ত্যাগ করে বাসা থেকে পালিয়ে গেছে। পত্রিকা পড়ে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয় এজন্য তিনি দৈনিক মানবজমিনের দ্বারস্থ হন। গত ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ‘পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক গৃহবধুু’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। তিনি এরপর আশ্রয় ও ন্যায়বিচারের আশায় উপ-পুলিস কমিশনার পরিচালিত ঢাকার তেজগাঁওস্থ ওমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের শরণাপন্ন হন। সেখান থেকে তাকে লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নিকট প্রেরণ করা হয়। এই সংস্থার তত্বাবধানে রত্না, তার বোন ও বোনের দুই সন্তানকে চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদে পাঠানো হয়। সেখানকার মিসেস সুগতা বড়ুয়া তাদেরকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিসের উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান। উর্ধতন পুলিস কর্মকর্তার নির্দেশে তারা ডবলমুরিং মডেল থানায় আরেকটি জিডি করেন যার নং ১১৬৪, তাং-১৯/১১/১২ ইং। অপরদিকে তার স্বামীর অপতৎপরতা ও মিথ্যাচারে প্রভাবিত হয়ে পুর্বোক্ত মিথ্যাই আরও রং চড়িয়ে প্রতিবেদন আকারে গত ২০ ও ২১ নভেম্বর বৈশাখী টেলিভিশন চ্যানেলে সারাদিন ধরে প্রচারও করা হয়। পাষণ্ড স্বামী সাক্ষাৎকারে বলে যে, ‘রত্না দুই শিশু সন্তান ফেলে আত্মঘাতি স্কোয়াডে যোগ দেওয়ার জন্য পালিয়ে গেছে।’ এ প্রসঙ্গে রত্না জানান, ‘বৈশাখী টিভিতে আমার স্বামী অভিযোগ করে যে আমি আত্মঘাতি হওয়ার জন্য হেযবুত তওহীদের গোপন জঙ্গী আস্তানায় চলে গেছি। এটি একটি ডাহা মিথ্যা কথা। প্রথম কথা হল, হেযবুত তওহীদ কোন জঙ্গী দল নয় এবং এই দলের কোন আত্মঘাতি স্কোয়াডও নেই, সুতরাং তাতে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন অবান্তর। হেযবুত তওহীদের এমামের নীতি হল, এই আন্দোলনের কেউ কখনও কোন আইন ভঙ্গ করতে পারবে না। এটা আদালতে প্রমাণিত যে গত ১৭ বছরে এ আন্দোলনের কেউ কোন আইনভঙ্গ করে নি। দ্বিতীয় কথা হল, আমি এই ক’দিন সার্বক্ষণিকভাবে ছিলাম চিকিৎসক, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, তেজগাঁও এবং চট্টগ্রাম স্থানীয় প্রশাসনের জ্ঞাতসারে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, চট্টগ্রাম-এর আশ্রয়ে। পত্রিকা ও টিভিতে আমার স্বামীর এই মিথ্যাচার প্রচারের ফলে একজন মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী, পরকিয়ায় আসক্ত স্বামী কর্তৃক নির্যাতিতা নারীকে আরও কঠিন নির্যাতনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, আমার ছবি প্রচার করার কারণে জীবন চরম দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। যাচাই বাছাই না করে সংবাদ পরিবেশনের ফলে আমার পাষণ্ড বর্বর স্বামী এত আমাকে এত নির্যাতন করেও আইনের হাত থেকে পার পেয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে।’ রত্না আরও বলেন, ‘আমার উপর অভিযোগ আরোপ করা হয়েছে যে, আমি আমার শিশু সন্তানদেরকে ছেড়ে চলে এসেছি। অথচ বাস্তব সত্য হচ্ছে, আমার স্বামী প্রথমবার যখন আমাকে এক বস্ত্রে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তখন সে আমার বাচ্চাদেরকে আমার সঙ্গে যেতে দেয় নি। আর দ্বিতীয়বার যখন আমাকে অর্দ্ধচেতন অবস্থায় পুলিস গিয়ে উদ্ধার করে, তখনও আমার স্বামী বাচ্চাদেরকে দেয় নি। আমি আশঙ্কিত যে এই দুঃশ্চরিত্র লোকটির কাছে থাকলে আমার বাচ্চাগুলিও তার মতই অমানুষ হবে। মা হিসাবে আমি অবশ্যই চাই তারা আমার কাছেই থাকুক। কিন্তু আমার কথা কে শোনে?’ সন্ত্রাসী স্বামী ও তার পরিবারের দ্বারা নির্যাতিতা হয়ে এ দেশের অসংখ্য গৃহবধু কোথাও আশ্রয় না পেয়ে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু রত্না একজন শিক্ষিতা নারী যিনি বিশ্বাস করেন যে আত্মহনন এসলামে বৈধ নয়, এমনকি আইন শৃংখলা পরিপন্থি কোন কাজও করা যাবে না। তাই বারবার তিনি আইন, প্রশাসন, গণমাধ্যম এবং আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং বর্তমানেও তাদের তত্ত্বাবধানেই আছেন। এটাই কি রত্নার অপরাধ, যার জন্য একজন অমানুষ স্বামীর মিথ্যা প্রচারে রত্নার আইনের আশ্রয় ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথও রুদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে?

Friday, February 24, 2012

পড়ে দেখুন নির্মল বিনোদন _____________

বরাবর,

কামার ভাই,
ঠেলপট্টি, কামার পাড়া

বিষয়ঃ লোহার বান্ধাইন্না একখানা বুলেটপ্রুফ বেডরুম চেয়ে আবেদন।

জনাব,
আমি এই দুই বুড়ির জাতাকলে পিষ্ট বাংলাদেশের একজন নিতান্তই খেয়ে পড়ে বেচে থাকা একজন নাগরিক। আপনি ইতোমধ্যে জেনে থাকবেন যে, দুই বুড়ির একজন আমাদের ''মহান'' প্রধানমন্ত্রী ছেকাচিইনা বলেছেন, ''সরকারের পক্ষে বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়'', উনার কথা শুইনা উনার ভাব চক্কর আমার ভালো ঠেকতেছেনা না, এইসব কইয়া কি বুঝাইলো? মার্ডার নিজেরাই কর্বে আবার সেটা ঢাকার জন্য মূর্খের মত বুলি ছাড়বে। আমি ভাই নিরীহ মানুষ অত শত বুঝিনা, যতদিন আয়ু আছে কোন রকমে বাইচা থাকতে চাই। তো, সরকার যেহেতু তার কর্তব্য পালন করায় নিজের ব্যার্থতা প্রকাশ করে কর্তব্য পালনে অনীহা প্রকাশ করেই ফেলল তাই নিজের পথ নিজেই বাইছা নিলাম। কোথায় আছে ''চাচা আপন প্রান বাঁচা'', তাই বলি কি আমাকে একখানা বুলেটপ্রুফ বেডরুম লোহা দিয়া বান্ধাইয়া বানাইয়া দিলে বিশেষ উপকৃত হইতাম। আর চির কৃতজ্ঞ থাকিতাম। অতএব, আপনার নিকট আকুল আবেদন এই যে, এই অধমকে একখানা বুলেটপ্রুফ বেডরুম বানাইয়া দিয়া বাধিত করবেন।

বিনীত,

এক অধম নাগরিক।

পোষ্টঃ শশী হিমু

Collected ________________________

Thursday, February 23, 2012

গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ..

গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ..
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে
লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।। ও যে আমায়ঘরের বাহির করে,
পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে।
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে;
যায় রে কোন্ চুলায় রে।
ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে,
কোনখানে কী দায় ঠেকাবে–
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে ভেবেই না কুলায় রে।

--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এই দুপুরে অঞ্জন দত্তের অসাধারণ গানটি পোস্ট দিলাম....

পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোড়া করে দেবো
বলেছে পাড়ার দাদারা
অন্যপাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই
রঞ্জনা আমি আর আসবো না।।

ধর্ম আমার আমি নিজে বেছে নেইনি
পদবিতে ছিলো না যে হাত
মসজিদে যেতে হয় তাই জোর করে যাই
বচ্ছরে দু’একবার।।
বাংলায় সত্তর পাই আমি এক্সামে
ভালো লাগে খেতে ভাত মাছ
গাঁজা-সিগারেট আমি কোনটাই ছুঁইনা
পারিনা চড়তে কোন গাছ

চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না।।

বুঝবো কি করে আমি তোমার ঐ মেঝ দাদা
শুধু যে তোমার দাদা নয়
আরো কত দাদাগিরি কব্জির কারিগরি
করে তার দিন কেটে যায়।।
তাও যদি বলতাম হিন্দুর ছেলে আমি
নিলু বিলু কিম্বা নিতাই
মিথ্যে কথা আমি বলতে যে পারিনা
ভ্যাবা ভ্যাবা ভ্যাবাচ্যাকা খাই

সত্যিকারের প্রেম জানিনাতো কি সেটা
যাচ্ছে জমে হোম টাস্ক
লাগছে না ভালো আর মেট্রো-চ্যানেলটা
কান্না পাচ্ছে সারা রাত
হিন্দু কি জাপানী জানি নাতো তুমি কি
জানে ঐ দাদাদের গ্যাং
সাইকেলটা আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি
পারবো না ছাড়তে এই ঠ্যাং

চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না।।

চেহারা দেখে তো মনেহয় তুমি চাইনিজ

এক পাগল এক চাইনিজকে জিজ্ঞেস করছেঃ- "তুমি কি আমেরিকান??"

চাইনিজঃ- "না! আমি চাইনিজ."

পাগলঃ- "তুমি আমেরিকান না???"
... ...
চাইনিজঃ- "না, আমি চাইনিজ."

পাগলঃ- "মিথ্যা বলছ,তুমি অবশ্যই আমেরিকান"

লোকটি শেষে বিরক্ত হয়ে বললঃ- " হ্যাঁ বাবা। আমি আমেরিকান। খুশি??"

পাগল এর পর বললঃ-
.
.
.
.
.
.
.
"তাই??
চেহারা দেখে তো মনেহয় তুমি চাইনিজ

Sunday, February 19, 2012

• নির্বাচনের প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করছেন সাংবাদিকঃ

আপনি কেন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন?

প্রার্থীঃ আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, চারদিকে কী ঘটছে? সরকারি লোকেরা আমোদ-প্রমোদে মত্ত, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ।

সাংবাদিকঃ আপনি এর বিরুদ্ধে লড়ার জন্যই নির্বাচন করছেন?
--
-
--
-
--
-
--
-
--
প্রার্থীঃ পাগল নাকি! আমার কি আমোদ-প্রমোদ করতে শখ হয় না?

আমি ভালোমতোই জানি কোন প্রাইম মিনিস্টার কুত্তা !"

এক লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে গলা উঁচিয়ে চিত্‍কার করে বলছে,

" প্রাইম মিনিস্টার একটা কুত্তা !! "

কিছুক্ষনের মধ্যেই সে এক পুলিশের হাতে ধরা পরলো । পুলিশ কষে একটা চড় মেরে বললো,

" থানায় চল । শালা, প্রাইম মিনিস্টারকে অপমান করোছ, না? "

লোকটা উত্তর দিলো,
" আমি তো আমেরিকার প্রাইম মিনিস্টারের কথা বলতেছিলাম "!

পুলিশ তাকে আরো ৩টা হেভি জোরে থাপ্পড় লাগিয়ে বললো ,

" আমারে মগা পাইছোস ? আমি ভালোমতোই জানি কোন প্রাইম মিনিস্টার কুত্তা !"

আরোও ৫০ টাকা দিন

মিলিটারিদের ট্রেনিং এর সময় সাহস পরীক্ষা করছে তাদের প্রধান।

এক মিলিটারিকে দুরে দাঁড় করিয়ে রেখে মাথায় লেবু রেখে বন্দুক দিয়ে সেই লেবুটিকে গুলি করল। মিলিটারিটি একদম নড়ল না। লেবুটি ফেঁটে গিয়ে তার শার্টটিকে নষ্ট করে দিল।
তাদের প্রধান তাকে ৫০ টাকা দিয়ে বলছে- ‘সাবাস, এই টাকা দিয়ে সাবান কিনে শার্টটি ধুঁয়ে নিও’।
মিলিটারিটি বলল,
-
-
-
-
-
-
-
-
‘তাহলে আরোও ৫০ টাকা দিন, প্যান্টটিও ধুঁতে হবে ভিজে গেছে

বিখ্যাতদের মজার ঘটনার একটি ঘটনা"

বিখ্যাতদের মজার ঘটনার একটি ঘটনা"

»»» (সত্য ঘটনা) «««

হামদর্দ এর প্রতিষ্ঠিাতা হেকিম আজমল খানের চিকিৎসক হিসেবে খুবই খ্যাতি ছিল।প্রসিদ্ধি আছে রোগীকে না দেখে তার প্রস্রাব দেখেই রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্হাপত্র দিতে পারতেন তিনি এবং রোগী ভালো হয়ে যেত।তাঁর এ ক্ষমতায় অবিশ্বাসী এক ইংরেজ সাহেব একবার তাঁকে বাজিয়ে দেখার জন্য নিজের প্রস্রাব না পাঠিয়ে উটের প্রস্রাব পাঠিয়ে দিলেন।
হেকিম সাহেব প্রস্রাব দেখে ব্যবস্হাপত্রে লিখলেন,

“এ প্রস্রাব যার তাকে আরো বেশি করে খড় আর ভুসি খেতে হবে”!

রাস্তা দিয়ে ৪ জন লোক যাচ্ছেঃ

রাস্তা দিয়ে ৪ জন লোক যাচ্ছেঃ

এক সৎ বাঙ্গালি নেতা, স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান এবং এক গরীব বাঙ্গালি ।

রাস্তায় একটা ৫০০ টাকার নোট পরে আছে।
বলুন তো টাকাটা কে পাবে?
-
-
-
-
-
-
অবশ্যই গরীব বাঙ্গালিটা।
কারন...??
-
-
-
-
-
-
-
বাকি সবগুলো চরিত্র-ই কাল্পনিক!

এক টুপিওয়ালা একবার এক বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল।

যেতে যেতে তার খুব ঘুম পেল। সে তখন একটা গাছের নীচে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

সেই গাছে ছিল কিছু বানর। তারা সবাই সেই টুপিওয়ালার টুপিগুলো মাথায় দিয়ে গাছের উপর উঠে বসল। সন্ধার দিকে টুপিওয়ালার ঘুম ভাঙল। উঠে দেখল তার কাছে তার নিজের টুপিটা ছাড়া আর কোন টুপি নাই, সব গুলো টুপি বানরগুলো মাথায় পড়ে বসে আছে।

টুপিওয়ালা একটা ইট ছুড়ে মারল বানরদের দিকে। সাথে সাথে বানরগুলোও কিছু ইট ছুড়ে মারল তার দিকে।
টুপিওয়ালা মাথা চুলকালো।

বানরগুলোও মাথা চুলকালো। তখন টুপিওয়ালার মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো।

সে তার মাথার টুপিটা খুলে ছুড়ে মারল, তখন বানরগুলোও তাদের মাথা থেকে টুপি গুলো খুলে ছুড়ে মারলো।

টুপিওয়ালা তখন টুপিগুলো নিয়ে বাসায় চলে আসল। বাসায় এসে সে তার ছেলেদের সব ঘটনা খুলে বলল। এরপর প্রায় বিশ বছর কেটে গেছে।

সেই টুপিওয়ালার ছোট ছেলে এখন টুপি বিক্রি করে। একদিন সেই ছেলেটা সেই বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। যেতে যেতে তার খুব ঘুম পেল।

সে তখন সেই গাছের নীচে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো যেখানে তার বাপ ঘুমিয়েছিল। সেই গাছ থেকে অনেকগুলো বানর নেমে এসে টুপিওয়ালার সব টুপি নিয়ে মাথায় দিয়ে গাছ চড়ে বসল।

সন্ধার দিকে টুপিওয়ালার ঘুম ভাঙল। উঠে দেখল তার কাছে তার নিজের টুপিটা ছাড়া আর কোন টুপি নাই, সব গুলো টুপি বানরগুলো মাথায় পড়ে বসে আছে। তখন তার বাপের বলা গল্পটা তার মনে পড়ে গেল।

সে তখন একটা ইট ছুড়ে মারল বানরদের দিকে। সাথে সাথে বানরগুলোও কিছু ইট ছুড়ে মারল তার দিকে। টুপিওয়ালা মাথা চুলকালো।

বানরগুলোও মাথা চুলকালো। সে তখন তার মাথার টুপিটা খুলে ছুড়ে মারল।

হঠাৎ একটা বানর এসে তার গালে ঠাস করে একটা চড় মেরে বলল, "এ ছ্যামরা, কি মনে হরছস তোর বাপেই হুদা তোগোরে গল্পো হুনায় মোগো বাপেরা হুনায় না...?

এত খ্যাপার কী আছে! উত্তর জানো না, তা বললেই পারতে!

চিতাকে দেখে তার দিকে এগিয়ে গেল সিংহ, জিজ্ঞেস করল:
বনের রাজা কে?
কে আবার! আপনি।

বানরকে দেখে একই প্রশ্ন করল সিংহ:
বনের রাজা কে?
কে আবার! আপনি।

বনের সব পশুকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে সিংহ একই উত্তর পেল। বাকি ছিল শুধু হাতি। তার কাছে গিয়ে সে জানতে চাইল:
বনের রাজা কে?
কোনো উত্তর না দিয়ে হাতি সিংহকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছড়ে ফেলল মাটির ওপরে। সিংহ সংবিৎ ফিরে পাওয়ার আগেই আবারও একই কাজ করল হাতি।

পরে সিংহ দৌড়ে একটু দূরে সরে গিয়ে বলল, এত খ্যাপার কী আছে! উত্তর জানো না, তা বললেই পারতে!

যম এসেছে টের পেলে আমি হেঁটেই শ্মশানে চলে যাব।

কৃপণ বাপের কৃপণ ছেলে।

বাবা মৃত্যুশয্যায়।

ছেলেটি ড্রইংরুমে বন্ধুদের সঙ্গে তার পিতার সঙ্গীন অবস্থা নিয়ে আলাপ করছে।

কৃপণ ছেলে : বাবা তো বোধ হয় আর বাঁচবে না। মরলে কী করব?

এক বন্ধু : কেন, সবাই যা করে! লরিতে উঠিয়ে ফুল দিয়ে সাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাবি।

কৃপণ ছেলে : লরি-ফুল, সে তো অনেক খরচের ব্যাপার!

আরেক বন্ধু : তাহলে পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে কাঁধে করে নিয়ে যাবি।

কৃপণ ছেলে : তাতেও খরচ আছে। পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে শ্রাদ্ধে নিমনতন্ন করে খাওয়াতে হবে।

কৃপণ পিতা : পাশের রুম থেকে কোঁকাতে কোঁকাতে পিতা বললেন, অত ভাবিস না রে বাবা। যম এসেছে টের পেলে আমি হেঁটেই শ্মশানে চলে যাব।

ফিউচার প্ল্যানিং কাকে বলে, শিখে নেন। (চরম আইডিয়া)

একদা এক বৃদ্ধ লোক স্টেশনে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করতেছিলো।
তখন এক তরুন আসলো এবং বৃদ্ধ লোকটির কাছে সময় জিজ্ঞাস করলো।

কিন্তু বৃদ্ধ লোকটি সময় বললোনা।
তরুনটি বার বার সময় জিজ্ঞাস করলো, কিন্তু বৃদ্ধ লোকটি বললোনা।

তরুনটি বৃদ্ধ লোকটির নিকট সময় নাবলার কারন জানতে চাইলো।

বৃদ্ধ লোকটি বললো--->
আমি যদি তোমাকে সময় বলি, তুমি জানতে চাইবে আমার নাম, কি করি ইত্যাদি।
তখন আমি তোমার সম্পর্কে জানতে চাইবো।
তখন আমাদের মাঝে স্বাভাবিক কথোপকথন চলতে থাকবে।
By Chance তুমি আমার পাশে সিটটা নিয়ে বসবা ট্রেনে।

তখন হয়তোবা তুমি আমার সাথে একি স্টেশনে নামবা ।

আমার মেয়ে আমাকে নিতে আসবে।আমার মেয়ে আমাকে তোমার সাথে দেখে ফেলবে।
আমার মেয়ে অনেক সুন্দরী।

তুমি হয়তোবা তার প্রেমেপড়ে যাবা, এমনকি হয়তোবা আমার মেয়েও ্ আর তখন আমার মেয়ে তোমাকে বিয়ে করতে চাইবে।

এবং তাই আমি দুঃখিত।আমার এমন দরিদ্র জামাইয়ের দরকার নেই, যার কাছে সময় দেখার জন্য একটা ঘড়িও থাকে না ।

আমি না খেয়ে মরতাছি না।

বস ফাইজুল কে বললোঃ যখন থেকে আমি তোমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করছি,সেদিন থেকে তুমি প্রতিদিন সকালে আমার বাসার দরজার সামনে পায়খানা কর।তরেতো পুলিশে দেয়া দরকার।কাহিনি কি?
.
.
.
.
.
.
.
ফাইজুলঃ সার আপনি আমরে চাকরি থেকে বরখাস্ত করছেন তো কি হ্ইছে?আমি শুধু আপনাকে এটা প্রতিদিন মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমি না খেয়ে মরতাছি না।

দাদার পিঠ চুলকে দেই নি, তাই!!!

আশি বছরের এক বৃদ্ধ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে৷
বৃদ্ধ একজন মানুষ এভাবে একা একা কাঁদছেন দেখে দয়ার বশবর্তী হয়ে এক পথিক কাছে গিয়ে জানতে চাইল, আংকেল কাঁদছেন কেন?
ক্রন্দনরত লোকটি উত্তর দিলো, বাবা মেরেছে।
পথিক অবাক হয়ে বলল, বাবা মেরেছে! মাশাল্লাহ, আপনার বাবা এখনও বেঁচে আছেন! যাহোক, মেরেছেন কেন? আপনি কী করেছিলেন?
নির্বিকার ভঙ্গিতে বৃদ্ধ বললেন, দাদার পিঠ চুলকে দেই নি, তাই!!!

একজন প্রগ্রামার এবং একজন খাদ্য ব্যবসায়ী

একজন প্রগ্রামার এবং একজন খাদ্য ব্যবসায়ী বিমানে ভ্রমন করছেন ।সময় তেমন একটা কাটছিলোনা,তাই প্রগ্রামার ব্যবসায়ীকে বললেন,''আসেন,সময়টা কাটাই,একটা মজার খেলা খেলি ''
ব্যবসায়ী খুব একটা পাত্তা দিলেন না, খুব টায়ার্ড বলে আগ্রহ বোধ করলেন না।
প্রগ্রামার হাল ছাড়ার পাত্র নন,তাই তিনি জোড়াজুড়ি করতে লাগলেন,একপর্যায়ে খেলাটা বুঝাতে শুরু করলেন ব্যবসায়িকে ,'' বুঝলেন !! আপনি আমাকে একটা প্রশ্ন করবেন,আমি উত্তর না দিতে পারলে আপনি ৫০ টাকা পাবেন.......আর আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করবো,আপনি উত্তর দিতে না পারলে আপনি আমাকে ৫০ টাকা দিবেন '' !! :D
খাদ্য ব্যবসায়ী তাও আগ্রহ পেলেন না। ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলেন।
এবার মরিয়া হয়ে প্রোগ্রামার ব্যবসায়ীকে বললেন,''ঠিক আছে, আমি উত্তর না দিতে পারলে আপনাকে ৫০০ টাকা দেব,কিন্তু আপনি উত্তর না দিতে পারলে ৫০ টাকাই দিয়েন '' !!
ব্যবসায়ী এইবার আগ্রহবোধ করলেন , প্রোগ্রামার বললেন,''আমি প্রথম প্রশ্ন করবো !! ''
ব্যবসায়ী রাজি হলেন । প্রগ্রামার জিজ্ঞেস করলেন,'' পৃথিবী হতে চাঁদের দূরত্ব কত?? ''
ব্যবসায়ী পরলেন না । তিনি প্রগ্রামারকে ৫০ টাকা দিলেন। এইবার তার পালা। :P
তিনি প্রগ্রামারকে জিজ্ঞেস করলেন,''কোন বস্তুটি ৩ পায়ে পাহাড়ে ওঠে,কিন্তু ৪ পায়ে নামে?? ''
প্রগ্রামার তন্নতন্ন করে গুগল সার্চ দিলেন,কোন উত্তর না পেয়ে ব্যবসায়ীকে ৫০০ টাকা দিলেন ।
টাকা নিয়ে ব্যবসায়ী ঘুমের আয়োজন করছেন এইসময় প্রগ্রামার ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞেস করলেন,''ভাই..... উত্তর টা কি হবে?? ''

ব্যবসায়ী পকেট থেকে ৫০ টাকা বের করে প্রগ্রামারের হাতে দিয়ে পাশ ফিরে ঘুমাতে গেলেন ।

তিন বন্ধুতে গল্প হচ্ছে।

প্রথম বন্ধু: আমার দাদা একজন বিখ্যাত সৈনিক ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি অস্ত্র হাতে ৫০ জন যোদ্ধাকে কুপোকাত করেছিলেন।
দ্বিতীয় বন্ধু: আমার দাদা ছিলেন আরও বিখ্যাত। খালি হাতেই তিনি ১০০ জন যোদ্ধাকে ধরাশায়ী করতে পারতেন।
তৃতীয় বন্ধু: আজ যদি আমার দাদা বেঁচে থাকতেন, তিনিও একজন বিখ্যাত লোক হতেন।
প্রথম বন্ধু: কীভাবে?
তৃতীয় বন্ধু: বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ১৫২, এটাই কি বিখ্যাত হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়?!

Friday, February 17, 2012

নির্দেশ পালন করছি ।

ডাক্তারের চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক তরুণ। কাছ দিয়েই যাচ্ছিল ঐ তরুণের এক বন্ধু। কথা হচ্ছে উভয়ের মধ্যে-
১ম জনঃ কি ব্যাপার, তুই এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস?
২য় জনঃ মেয়েদের দেখছি!
১ম জনঃ মানে?
২য় জনঃ ঐ দেখ, ডাক্তারের চেম্বারের দরজায় ঝুলানো আছে।
১ম জনঃ “মেয়েদের দেখার জন্যবিকাল ৪টা থেকে ৬টা।” তাতে কী হয়েছে?
২য় জনঃ তাই তো দাঁড়িয়ে নির্দেশ পালন করছি ।

Monday, February 13, 2012

“আম্মা বের হতে দেয় নি!!

দাদা আর দাদীর তাদের ৬০ বছর বিবাহবার্ষিকীতে ইচ্ছা হলো, তারা তাদের প্রথম প্রেমের স্মৃতি রোমন্থন করবেন।
তারা প্রথম প্রথমযেভাবে প্রেম করতেন সেভাবে ডেটিং এ যাওয়ার প্ল্যান! করলেন।
তো দাদা সেজেগুজেফুল নিয়ে পার্কেগিয়ে অপেক্ষা করছিলেন যেখানে তারা আগে দেখা করতেন।
সারাদিন অপেক্ষা করার পরও দাদী এল না।। দাদা রেগেমেগে বাড়িতে গিয়ে দেখলেন যে দাদী বসে আছে।
দাদা রেগে বললেনঃ“আসলে না কেন??”
দাদী লজ্জিত গলায় বললেনঃ
“আম্মা বের হতে দেয় নি!!

রাণী কখনও পাগল দেখে নি

রাণী কখনও পাগল দেখে নি। রাজার কাছে তাই একদিন তিনি পাগল দেখার ইচ্ছা পোষণ করলেন। রাজা তৎক্ষণাৎ সিপাহীদের একটা পাগল ধরে আনার নির্দেশ দিলেন। সিপাহীরা উদোম গায়ের-ছোট্ট গামছা পরা এক পাগল ধরে নিয়ে আসল।

খালি গায়ের, ছোট গামছা পরা পাগল দেখে লজ্জায় শাড়ির আঁচল দিয়ে রাণী মুখ ঢাকলেন। রানীর এই লজ্জা দেখে পাগলও লজ্জা পেল। তার...পর...
|
|
|
|
|
তারপর লজ্জা ঢাকতে পরণের গামছা খুলে রাণীর মত করে মুখ ঢেকে ফেলল।

Sunday, February 12, 2012

///////////// দেখেন বলদের সমাহার \\\\\\\\\

এক লোক কোদাল দিয়ে গর্ত খুঁড়ছে। পাশ দিয়েই যাচ্ছিল এই গ্রামের আরেক লোক।
সে জিজ্ঞেস করল, ‘কিরে, গর্ত খুঁড়ছিস কেন?’ ‘ছবি তুলব তো, তাই গর্ত খুঁড়ছি।’
‘ছবি তোলার জন্য গর্ত খুঁড়ছিস, মানে?’
‘হয়েছে কী, আমার হাফ ছবি তুলতে হবে। আর জানিস তো, হাফ ছবি বুক পর্যন্ত হয়। তাই গর্তে নেমে ছবি তুলব। যাতে শুধু বুক পর্যন্ত ওঠে।’
... এবার দ্বিতীয় জন বিষয়টা বুঝতে পেরে বলল, ‘তা কয় কপি ছবি তুলবি?’
প্রথম জন জানাল, ‘তিন কপি।’
দ্বিতীয় জন রেগে গিয়ে বলল, ‘আরে বোকার বোকা! তিন কপি ছবি তুললে একটা গর্ত খুঁড়ছিস কেন। আরও দুইটা খোঁড়।’

Saturday, February 11, 2012

এরপর জীন বসকে জিজ্ঞেস করলো তার ইচ্ছে কি

বস, সেক্রেটারি আর এক সাধারণ কর্মচারি একসাথে বসের রুমে বসে আছেন । আজকে বস অনেক খুশী । আজ অনেক বড় একটা বিপদ থেকে কোম্পানি রক্ষা পেয়েছে সেক্রেটারি আর এই কর্মচারীর উসিলায় । তাই আজ তিন জিন মিলে একটু গিলবেন । বস অনেক পুরনো তবে খাঁটি একটা বোতল কিনে এনেছিলেন কিছুদিন আগে, আজ সেটাই শেষ করবেন ।
কথা বার্তা শেষে বস বোতল খোলার পরে বোতল থেকে একটি জীন বের হল । জীন বলল আমাকে মুক্ত করার জন্য আমি তোমাদের তিনজনকে পুরস্কৃত করতে চাই, তোমাদের তিনটি ইচ্ছে আমি পূরণ করতে পারবো, যেহেতু তোমরা তিনজন তাই প্রতিজনের একটি করে ইচ্ছে পূরণ করবো। বল তোমাদের কার কি ইচ্ছে ?

একথা শুনে কর্মচারী আগেই বলে উঠলোঃ আমি একটি প্রমোদতরী চাই যেটাতে করে আমি সারাজীবন ঘুরে বেড়াতে পারবো কোন কাজ করা ছাড়া !
জীন তার ইচ্ছে পূরণ করলো এবং কর্মচারী সেখান থেকে উধাও হয়ে গেলো !
এর পর সেক্রেটারি বলল, সে সমুদ্রের তীরে একটি বিশাল দালান চায় যেখানে সে তার স্বপ্নের রাজকুমারীকে নিয়ে সারাজীবন শান্তিতে কাটিয়ে দিতে পারবে !
জীন তার ইচ্ছেও পূরণ করলো এবং সেক্রেটারিও সেখান থেকে উধাও হয়ে গেলো ।

এরপর জীন বসকে জিজ্ঞেস করলো তার ইচ্ছে কি ?
বস বলল যেন তার সেক্রেটারি এবং কর্মচারীকে এখনই এই অফিসে কাজে যোগদান করে !

আজকে আমি জেল থেকে ছাড়া পেতাম পুরাপুরি মুক্ত হয়ে যেতাম

মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, স্বামী বিছানায় নেই। বিছানা থেকে নেমে গায়ে গাউন চাপালেন তিনি। তারপর স্বামীকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেন।

বেশি খুঁজতে হলো না। রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখা গেল স্বামীকে। হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর কোনো চিন্তায় মগ্ন। মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে পানি মুছে ...নিচ্ছেন, তারপর কফি খাচ্ছেন।

‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী। ‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’ স্বামী তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘হঠাৎ ২০ বছর আগের কথা মনে পড়ল।

খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট করতে শুরু করেছিলাম। তোমার বয়স ছিল ষোলো। তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’ স্ত্রী তাঁর স্বামীর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে।’
স্বামী একটু থেমে বললেন, ‘তোমার কি মনে আছে, পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে
ধরে ফেলেছিলেন?’

‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে।’ একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।
স্বামী আবার বললেন, ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে
আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো
তোমাকে ২০ বছর জেল খাটাব আমি।’
স্ত্রী নরম সুরে বললেন, ‘আমার সবই মনে আছে।’
স্বামী আবার তাঁর গাল থেকে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন, ‘আজকে আমি জেল থেকে ছাড়া পেতাম পুরাপুরি মুক্ত হয়ে যেতাম
আর পারছি না গুরু,সেই নার্সারি থেকে শুরু!!!-ফেন পেজ

ভালোবাসা ও ডেস্টিনিঃ

তখন আমি কলেজের পাঠ চুকাবো মাত্র, আমাদের শেষ ক্লাস। সবার মন খারাপ। আমারও। একে একে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেছে সবাই, বসে আছি আমি। হঠাৎই জুনিয়র একটা মেয়ে এসে ঢুকলো ক্লাসে। ওর বড়ো আপু স্ট্যান্ড করা ছাত্রী ছিলেন, সেই সুবাদে ওদের বাড়ি যাওয়া আশা ছিলো। ঝড়ের মতো খালি পায়ে এসে ঢুকেই আমাকে দেখে একটু ক্যামন যেনো হয়ে গেলো। টিচারের ডেস্কের কাছে গিয়ে ডেস্কের সাথে ভর দিয়ে আপন মনে নখ খুঁটতে খুঁটতে বললো,

- আর দেখা হবে না? আমিতো অবাক, কি বলে এই মেয়ে! ডালমে কুছ কালা হ্যায়! বললাম
- হবেনা ক্যানো?
- না, আমি জানি।
- কি জানো? আমি তো আছিই এখানে। কোচিং করতে যাবার দেরি আছে, আগে পরীক্ষা শেষ হোক! মুখ নিচু করে সপ্রভিত ভাবে আরক্তিম হয়ে আমারে শুধায়
- আপনার কি কিছুই বলার নেই? আমি তো হতভম্ব! আমি কি বলবো? কিসের কথা বলতেছে এই মেয়ে? মূহুর্তে তার কিছু আচরন আমার চোখের সামনে দিয়ে ফ্লাস ব্যাকের মতো ভেসে গেলো। বুঝলাম মাইয়া আমার প্রেমে পড়েছে! মনে মনে একটু খুশীই হলাম। কিন্তু প্রথম প্রেমের সাম্প্রতিক ছ্যাকার অভিজ্ঞতা আমাকে ঘরপোড়া গরুর মতোই সাবধান করে দিলো।
- কিইবা বলার আছে? বললাম আমি। একটু কাঁদো কাঁদো হয়ে মহিলা আমারে বললেন
- সত্যি কিছু বলার নেই? লে বাবা, কেঁদে দেবে নাকি? আমি আবার কান্নাকাটি সহ্য করতে পারিনা। তাছাড়া এখন তো ফাকাই আছি, কয়েকটাদিন একটু হেসে খেলে পরে বুঝিয়ে বলা যাবে। আর এখন তো ব্যাস্ত থাকবো, প্রেম করার সময় কই? তাই একটু রহস্য করেই বললাম
- কিছু বলার থাকলেই বা শুনছে কে? মেয়ের মুখ দেখি পূর্নিমার চাঁদের মত ঝলমল করে উঠলো! বললো
- বুঝেছি, আপনার আর বলা লাগবে না। আপনার মোবাইল নাম্বারটা লিখে দেন তো! (তখন নয়া নয়া মোবাইল কিনছি! চরম ভাব!) লিখে দেয়ার সাথে সাথে মেয়ে পালাইলো। যাওয়ার আগে আস্তে করে চিঠি লিখতে বলে গেলো। (তখনো চিঠি চলতো)

যাউগ গা, বাঁচা গেলো! এমন এক্টা ভাব নিয়ে কি হইলো না হইলো এই চিন্তা করতে করতে বাড়ি ফিরলাম। এরপর তো পরীক্ষা, কোচিং এ দৌড়া দৌড়ি, ভার্সিটিতে ভর্তি এই সব নিয়ে খুব ব্যাস্ত হয়ে পড়ায় তেমন যোগাযোগ হলোনা। সর্বসাকুল্যে তিন খান চিঠি আর বারকয়েক মোবাইলে আলাপ। মাঝে কলেজে গেলে দু-একবার দেখা সাক্ষাৎ। এরই মাঝে তিনিও কোচিং করার জন্য ঢাকায় পদার্পন করেছেন, হাতে এসেছে মোবাইল সেট। আজব! ঢাকায় এসে কোন খোঁজ খবর নেই যে! ভাব্লাম মোহ ছুটছে এতদিনে! কিসের কি? মাস তিনেক পরে হঠাৎ ফোন!

-ক্যামন আছো?
- এইতো ভালো, তোমার খবর কি?
- চলছে...... কোচিং, ব্যাবসা নিয়ে খুব বিজি। এইবার আমার তব্দা খাওয়ার পালা, কয় কি মেয়ে! ঢাকায় আসতে পারলোনা, ব্যাবসা! কাহিনী কি?
- কিসের ব্যাবসা? পড়াশুনা ঠিকমতো করছ তো?
- এই তো, সবাই মিলে একটা ব্যাবসা করছি আরকি। দেখা হলে বলবো। আমি তোমার কাছে একটা জিনিস চাইবো, তুমি দিবা?
- কি জিনিস?
- দেখা হলে বলবো।
- আগে শুনবো কি জিনিস, তারপর বলতে পারবো।
- আচ্ছা, তাহলে পরশু আসো শাহবাগ।
- ঠিক আছে।
- বাই, লাভ ইউ। (এই প্রথম বল্লো!) আমি থতমতো খেয়ে
- হ্যা, বাই। আচ্ছা রাখি...
ভাফ্রে! ঢাকার বাতাস দেখি ভালোই লেগেছে! ভাবছিলাম আর মনে মনে টেনশন, কি চাইবে? দামী কোন কিছু নাকি? নাকি, হে হে হে……মানে অন্যকিছু? দেখা যাক…

নির্ধারিত সময়ের ঘন্টাখানিক পরে পৌঁছুলাম যথারিতী। কিছু বললো না। সাথে করে ঘুরে নিয়ে বেড়ালো, ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিলাম। এরই মাঝে দুই তিন বার ফোন এলো ওর মোবাইলে। চাপা স্বরে কাকে য্যানো বলে, “হ্যা, সাথেই আছে। আসবো অফিসে ঘন্টা খানিক পর” আমি শুনতে না চাইলেও শুনে ফেললাম। ভাব্লাম কোন বান্ধবীকে হ্য়তো বলছে! জিগাইলাম
- কি চাইবা বলছিলা, চাইলা না তো?
- আজ না, আরেকদিন চাইবো।
- আচ্ছা। মনে মনে ভাবি, বাঁচলাম! আজ পকেটে বেশী টাকা নাই।
আমার সাথে ঘুরলেও, ওকে ক্যামন জানি অস্থির মনে হচ্ছিলো। আগের মত আমিও ঠিক কম্ফোর্টেবল ফিল করছিলাম না। ও হঠাৎ বললো,
- আজ আর অফিসে যাবো না। বাসায় যাবো।
- তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আসি?
- হুম, চলো।
বাসে উঠে দুজনেই চুপচাপ। একটু পর এ কথা সে কথা বলতে বলতে আমার হাত চেপে ধরলো। সেই প্রথম! আমি একটু ভেতরে ভেতরে ঘাবড়ে গেলেও বাইরে ভাব দেখালাম কিছুই হয়নি, খুব স্বাভাবিক ব্যাপার! ও বললো
- আমি জানি, তোমার অনেকদিনের ইচ্ছা আমার হাত ধরার তাই না?
- হুম।
- আমাকে একটা কথা দিবা?
- কি?
- আমার স্বপ্ন আমি নিজেই ব্যাবসা করবো, তুমি আমার পাশে থাকবা তো? হে হে হে, আমিতো তখন চাঙ্গে! গু খাইতে বললে তাতেও রাজী! গম্ভির হয়ে বললাম
- আমি থাকবোনা তো কে থাকবে?
ও নিশ্চিন্ত হয়ে আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকলো। আমি দু একবার আবারো হাতটা ধরার ঈঙ্গিত করলাম নির্লজ্জের মতো। সে দেখেও না দেখার ভান করে থাকলো।

তার সপ্তাখানিক পরের কথা। আবার দেখা হলো দুজনার। নিউমার্কেটে নিয়ে গিয়ে পাক্কা নয়শত টাকা দিয়ে একটা ভ্যানিটি ব্যাগ কিনে দিলাম। চাকরী করি তখন একটা, মাসে মোটা মাইনে পাই পার্ট-টাইম করার পরও। ভদ্রমহিলা আমার সাথে ভালোই ঘোরাফেরা করলেন, খাই-দাই চললো। রেস্টুরেন্টের আধাঁর চিপায় বসে আবারো আমার হাত ধরলেন তিনি, বললেন

- আমার সাথে আমার অফিসে যাবা একটু? আমার বস তোমাকে দেখতে চেয়েছেন। লে হালুয়া, আবার অফিস/বস এইগুলা ক্যান? মনে মনে ভাবি।
- হ্যা, যাবোনা ক্যানো। কিন্তু ক্যানো বলতো?
- উনি চান আমি আর তুমি এক্ সাথে বিজনেস করি, তুমি আমাকে হেল্প করবে না বলো? বলেই হাতে একটা জোরে চাপ! আমি কি আর না বলতে পারি? ফর্সা, দীর্ঘাঙ্গী সুন্দরীর হাতের চাপে তখন আমি দুই চোখে বাসরঘর দেখতাছি!
- অবশ্যই করবো। কিন্তু কি বিজনেস?
- অফিসে চলো সব জানতে পারবা।
- কোথায় অফিস?
- পল্টনে।
- আচ্ছা, চলো।
তিনি রিক্সায় করে আমার গা ঘেঁসে বসে মোবাইলে বসের সাথে কথা বলতে বলতে যাচ্ছেন
- হ্যা, এইতো আমরা আসতেছি…

পল্টনে এক বিল্ডিং এর দোতালায় নিয়ে গেলো আমার প্রেয়সী, দেখি দরজায় লেখা “ডেস্টিনি- ২০০০ লিঃ” তখনি আমার বোঝা কমপ্লিট! বড়ই অনিচ্ছা সত্বেও গেলাম। আমাকে বিনেস প্লান বোঝানো হলো। সুন্দরীর টানে কয়দিন কয়দিন ট্রেনিং ও করলাম। তখনো জয়েন করিনি। আমাকে জয়েন করার জন্য সুন্দরী ও তার বস বহু চাপ প্য়োতখগ করতে লাগলো। তাও জয়েন করিনি টাকার সমস্যার কথা বলে। সুন্দরীরে বোঝাই আমি আছি তো! পালিয়ে তো আর যাচ্ছি না! কিন্তু তার দেখি আর আমার প্রতি কোন খেয়াল নেই! কোথায় সেও মধুর মধুর বাক্য? কোথায় তার প্রেম? একদিন ট্রেনিং শেষে সেই বস আমাকে জিজ্ঞাসা করেন কোন মেয়ে আমার প্রতি দূর্বল কিনা, তাকে আমি সেখানে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যেতে পারবো কিনা! তখনি ব্যাপারটা জলবৎ তরলং হয়ে গেলো। আমি সুন্দরীর সাথে জোর করে ডাইরেক্ট কনভার্সেশনে গেলাম
- ডু ইউ লাভ মি অর নট?
- দেখুন আমি আপনাকে অত্যান্ত শ্রদ্ধা করি!
- আই আস্কড, ডু ইউ লাভ মি অর নট? তিনি মিন মিন করে আবার বললেন
- আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি।
- দ্যাট মিনস ইউ ডোন্ট লাভ মি!
তিনি নিরুত্তর! সেই যে বের হলাম সেই বিল্ডিং থেকে, আর ফিরে যাইনি। আর তিনি? নাম্বারটা মুছে ফেলেছি, ক্যামন আছেন বলতে পারি না…eikhan theke

সীমের নম্বর বের করতে পারবেন এক নিমিষে।

বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানী কলচার্জের উপর একটু ছাড় প্রদান করে দিনের বিভিন্ন সময়ে, এক অপারেটরের ছাড়ের সাথে অন্য অপারেটরের ছাড়ের সময় মেলেনা তাই বাধ্য হয়ে আমাদের প্রায় সব কোম্পানীর মোবাইল সীম ব্যবহার করতে হয়। এবং নতুন সীম ক্রয়ে বিশেষ সুবিধা যেমন টক টাইম, এস এম এস, ইন্টারনেট ইত্যাদি ফ্রি পেতে আমাদের অনেক সময় অনিচ্ছা সত্তেও নতুন সীম কিনতে হয়। এমনি ভাবে আমাদের আনেকের কাছে 30 টা পর্যন্ত সীম জমা হয়। কিন্তু সমস্যা হল এক জায়গায়, কোন সীমের নাম্বার যে কত তা মনে রাখা সম্ভব হয় না তাই আজ আমি আপনাদের সাথে এমন এক টিপস শেয়ার করব যা দিয়ে আপনি যে কোন সময় যে কোন অপারেটরের (gp, robi, blnk, airtel) সীমের নম্বর বের করতে পারবেন এক নিমিষে। যে ভাবে করবেন-
১। GP—*111*8*2# (prepaid)
২। GP—*111*8*3# (postpaid)
৩। ROBI—*140*2*4#
৪। BANGLALINK—*666# or,*666*8*2#
৫। AIRTEL—*121*6*3#
মনে রাখবেন সকল অপারেটরের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ একদম ফ্রি। তাহলে যারাজানেন না তারা এখুনি ট্রাই করুন।

আরো দুটো লাড্ডুই খেয়ে নিতাম।'

এক ব্যক্তি এক দাওয়াতে গেল। সেখানে গিয়ে ৬০ টা লাড্ডু খেল।
বাসায় ফিরে আসার পর তার স্ত্রী তার এই খাওয়ার কথা শুনে প্রশ্ন করল, ' এতগুলো লাড্ডু যে খেলে, বলি একটা হজমি বড়ি খেয়ে নিতে পারলে না?'
প্রশ্নের জবাবে লোকটা উত্তর দিল,
*
*
*
*
*
*
*
'আরে বউ, যদি পেটে হজমি বড়ি খাওয়ার জায়গা থাকত তাহলে তো আরো দুটো লাড্ডুই খেয়ে নিতাম।'

Friday, February 10, 2012

এই নিয়ে ৬ বার বললাম আলু আর পটল রান্না করি।

এক ব্যক্তি ইন্টারনেটে তার ডাক্তারের সাথে চ্যাট করছে।

ব্যক্তিঃডাক্তার সাহেব, খুব ঝামেলায় পড়েছি।

ডাক্তারঃকি সমস্যা?

ব্যক্তিঃআমার বউয়ের কানে সমস্যা হয়েছে। কথা শুনতে পাচ্ছেনা !

ডাক্তারঃআরে এটা কোনো সমস্যা না। ওষুধের নাম বলে দিচ্ছি। এটা খেলে ঠিক হয়ে যাবে। তবে আগে বুঝতে হবে কতটুকু সমস্যা হয়েছে। আচ্ছা পরীক্ষা করা যাক।

ব্যক্তিঃকিভাবে?

ডাক্তারঃএক কাজ করুন।১০ মিটার দূর থেকে তাকে জিজ্ঞেস করুন সে কি করে।যদি উত্তর না পান তবে ৮ মিটার দূর থেকে তাকে জিজ্ঞেস করুন সে কি করে।এভাবে উত্তর না পেলে যথাক্রমে ৬, ৪ ও ২ মিটার দূর থেকে তাকে জিজ্ঞেস করুন সে কি করে।এবারও না পেলে একেবারে কানের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন এবং কখন উত্তর পান তা আমাকে জানান।

এরপর ঐ ব্যক্তি তার বউয়ের ১০ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"- কোনো উত্তর নাই।
৮ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"- কোনো উত্তর নাই।
৬ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"- কোনো উত্তর নাই।
৪ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"- কোনো উত্তর নাই।
২ মিটার দূরে থেকে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?" - কোনো উত্তর নাই।
এইবার একেবারে কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "কি কর?"
এইবার বউয়ের রাগান্বিত গলা শুনতে পেল,"এই নিয়ে ৬ বার বললাম আলু আর পটল রান্না করি।

(জনৈক মাতালের ডায়ালগ!)

লোকে বলে দুধ খেলে নাকি শক্তি বাড়ে! ! !
,
,
,
,
,
,
পাঁচ গ্লাস দুধ খেয়ে এই দেয়ালটা আধাঘণ্টা ধইরা ধাক্কাইলাম , এক ইঞ্চিও নড়ে নাই! সব ভূয়া ! ভু. . . . .








এখন পাঁচ গ্লাস মদ খেয়ে আসলাম! দেখো আমারে দেইখা নিজেই কেমন ভয়ে কাঁপতাছে দেয়ালটা ! আয়**** ! আইজ তোর একদিন কি আমার এক দিন ! ইয়া . . . . .
,

আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।

ভিখারি: বাবু, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক: কাল এসো।
ভিখারি: এই কালকের চক্করে, আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।

এই শালা কালকেও গাজা খাইয়া আমারে জঙ্গলে ৩ ঘণ্টা ঘুরাইছিল

জঙ্গলে এক চিতা বিড়ি খাচ্ছিল তখন এক ইঁদুর আসলো আর বলেঃ “ভাই নেশা ছাইড়া দেও, আমার সাথে আস দেখ জঙ্গল কত সুন্দর”

চিতা ইদুরের সাথে যাইতে লাগলো সামনে হাতি ড্রাগ নিচ্ছিল ইঁদুর হাতিকেও এক ই কথা বলল এর পর হাতিও ওদের সাথে চলতে শুরু করলো।

কিছুদুর পর তারা দেখল বাঘ হুইস্কি খাচ্ছে ইঁদুর যখন তাকেও এক ই কথা বলল সাথে সাথে বাঘ হুইস্কির গ্লাস রেখে ইদুরকে দিল কইসা একটা থাপড়!!

হাতিঃ বেচারাকে কেন মারতাছ??

বাঘঃ এই শালা কালকেও গাজা খাইয়া আমারে জঙ্গলে ৩ ঘণ্টা ঘুরাইছিল…!!!!!!!!!!!!!

Thursday, February 9, 2012

ওটাই আমার চিরুনির শেষ কাঁটা ছিল যে !

এক খুব কৃপণ লোক গেছে চিরুনি কিনতে।
কৃপণ: ভাই সাহেব, আমার একটা নতুন চিরুনি দরকার। পুরোনোটার একটা কাঁটা ভেঙে গেছে কিনা...।
দোকানদার: একটা কাঁটা ভেঙে গেছে বলে আবার নতুন চিরুনি কিনবেন কেন? ওতেই তো চুল আঁচড়ে নেওয়া যায়।
.
.
.
.
.
.
.
কৃপন: না রে, ভাই, ওটাই আমার চিরুনির শেষ কাঁটা ছিল যে !

Wednesday, February 8, 2012

ঘুম ভেঙে কুকুরটা আমাকে ধাওয়া করা শুরু করে .

মা : বাজার থেকে ফিরতে এতো দেড়ি হলো কেন?
ছেলে : একটা কুকুর উল্টো দিকে ধাওয়া করেছিলো
মা : বাজারের ব্যাগটা কই?
ছেলে : ভয়ে ব্যাগটা কুকুরের দিকে ছুড়ে মারলাম , তারপরও কুকুরটা ধাওয়া করছিলো...
মা : রাস্তার পাশ থেকে পাথর ছুড়ে মারলে না কেন?
ছেলে : পাথর মারছি তো...
মা : কখন? পাথর মারার পর কি হলো?
ছেলে : আমি যখন পাথর ছুড়ে মারলাম তখন কুকুরটা ঘুমাচ্ছিলো । এরপর ঘুম ভেঙে কুকুরটা আমাকে ধাওয়া করা শুরু করে .

~~~ সোফির জগৎ ~~~

দু হাজার বছর আগের এক গ্রীক দার্শনিক বিশ্বাস করতেন দর্শনের জন্ম মানুষের বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতার মধ্যে । বেঁচে থাকাটা এতো আশ্চর্য বলে বোধ হয়েছিল মানুষের কাছে যে আপনা থেকেই দার্শনিক প্রশ্নগুলো জেগে উঠেছিল তাদের মনে ।

ব্যাপারটা অনেকটা একটা জাদুর খেলার মত, আমরা আমরা ঠিক বুঝতে পারি না কাজটা কীভাবে করা হল । কাজেই আমরা জিজ্ঞেস করিঃ জাদুকর কী করে কয়েকটা সাদা সিল্কের স্কার্ফকে একটি জ্যান্ত খরগোশে রূপান্তরিত করতে পারেন ?

একজন জাদুকর যখন হঠাৎ করে একটা খরগোশ বের করে আনেন একটা টুপির ভিতর থেকে - যে টুপিটা কিনা একটু আগেই খালি হিসেবে দেখান হয়েছিল - তখন সবাই অবাক হয়ে যায়, অনেক মানুষী ঠিক সে-রকম অবিশ্বাস নিয়ে পৃথিবীর বুকে জীবনযাপন করে ।

খরগোশের বেলায় আমরা জানি যে জাদুকর আমাদের ধোঁকা দিয়েছেন । আমরা কেবল জানতে চাইব কাজটা কীভাবে করা হল। কিন্তু পৃথিবীর বেলায় ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। আমরা জানি পৃথিবীটা মোটেই হাত সাফাই আর ধোঁকার বিষয় নয়, তার কারণ আমরা এই পৃথিবীরই বাসিন্দা, আমরা এরই অংশ ! আসলে আমরা হচ্ছি টুপির ভেতর থেকে টেনে বের করা সেই সাদা খরগোশ। সাদা খরগোশ আর আমাদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হচ্ছে খরগোশটা উপলব্ধি করে না যে সে একটা জাদুর খেলায় অংশ নিচ্ছে । আর আমরা করি । আমরা অনুভব করি রহস্যময় একটা কিছুর আমরা অংশ এবং আমরা জানতে চাইব এগুলোর সব কীভাবে কাজ করে ।

পুনশ্চঃ সাদা খরগোশটার ক্ষেত্রে সেটাকে গোটা মহাবিশ্বের সঙ্গে তুলনা করাই সঙ্গত হবে , আমরা যারা বাস করি তারা হচ্ছি খরগোশের গায়ের রোমের গভীরে বাস করা আণুবীক্ষণিক পোকামাকড়। কিন্তু দার্শনিকরা সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেই মিহি রোম বেঁয়ে উপরে উঠে সরাসরি জাদুকরের চোখে চোখ রাখতে !

~~~ সোফির জগৎ ~~~
~ ইয়স্তেন গার্ডার ~
~ অনুবাদকঃ - জি এইচ হাবীব ~

Wednesday, February 1, 2012

সিগ্রেট খায়া মারা যান, ভাতের উপর চাপ কমান।

: এই তুমি আমাকে ভালবাসো না?
: Of course বাসি। কেন জানু বিশ্বাস হচ্ছে না?
: তাহলে তুমি সিগারেট খাওয়া ছাড়ো!
: কেন সোনা, এটাতে আবার কি সমস্যা?
: আমি ছাড়তে বলছি ছাড়ো!
: প্লীজ আমার সোনা পাখি! এটাই তুমিআপত্তি করোনা। অনেকদিনের অভ্যাস তো।
: আচ্ছা তাহলে তুমি আমাকে ছেড়ে দাও!
: এ কী বলছ জান! তাহলে তো আমি মরেই যাব।
: তাহলে সিগারেট ছাড়তে বলছি ছেড়ে দাও।
[ নাহ এ মেয়ে তো মহা সমস্যাই ফেলে দিলো]
: আচ্ছা ঠিক আছে সোনা চেষ্টা করব।
: চেষ্টা করলে হবে না। যদি সিগারেট না ছাড় তাহলে আর আমার সাথে কথা বলবেনা।!
/ মহা ঝামেলা! এতদিনের অভ্যাস এত সহজেই ছেড়ে দেওয়া যায়? কিন্তু কি করব, হাজার হলেও গার্লফ্রেন্ড। তার কথা তো আর ফেলে দিতে পারিনা। ছাড়তে কষ্টই হচ্ছিল। কিন্তু কি করব? না ছেড়ে তো আর উপাইও নেই! যাহদিলাম ছেড়ে!!
তার জন্য তো আর সিগারেট ছেড়ে দিতেপারিনা!!!!

কমলাকান্তের কনিষ্ঠ কন্যা কুহেলিকা কহিল, কাকা কাক কা কা করে কেন? কাকা কহিলো, কা কা করাই কাকের কাজ। কাজেই কাক কা কা করে। কুহেলিকা কখনো কয়নি কাকা কলিকাতার কালীঘাটের কৃষ্ণচন্দ্রের কাপড়ের কলে কাজ করে।

আর , আপনি কি জানেন, ক তে কি?
ক তে হয় পেপে


মানে কাঁচা পেপে

নিশ্চিত আয় বলতে আমি ওটাই মিন করছি।

: আমার মেয়েকে যে বিয়ে করতে চাও ওকে খাওয়াবে-পরাবে কী? তোমার মাসিক আয়টা কত শুনি।
: নিশ্চিত আয় মাসে হাজার খানেক, আর এদিক ওদিক করে….
: হাজার খানেক। জান আমার মেয়ে আমার কাছ থেকে মাসে হাত খরচই পায় এক হাজার টাকা।
: নিশ্চিত আয় বলতে আমি ওটাই মিন করছি।

দেখুন, আমি কত সমস্যায় আছি !

এক বৃদ্ধ লোক পুলিশ কে ফোন করে বলল পাশের বাসার মহিলা জানালার পাশে সবসময় আপত্তি জনক ভাবে থাকে বলে তার সমস্যা হইতেছে...
.
.
.
.
.

পুলিশ তার অভিযোগ শুনে তার বাসায় আসল।
এসে দেখে তার বাসা থেকে মহিলার বাসার কোন জানালাই দেখা যাই না।

পুলিশঃ কি ব্যাপার এখান থেকে মহিলার কোন জানালাই তো দেখা যায় না।
বৃদ্ধ লোকঃ এমন করে দেখা যাবে না বাবা,প্রথমে বারান্দা থেকে সানসাইডে নামতে হবে, তার পর খানিক ডানে আগাতে হবে,তার পর ঊচু হয়ে জানলা দিয়ে দেখুন,
আমি কত সমস্যায় আছি ।।

Tuesday, January 31, 2012

mocotker

চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে এক তরুণ। শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব—
প্র.: কংক্রিটের মেঝেতে ডিম ফেলবেন, কিন্তু ফাটবে না—কীভাবে করবেন এটা?
উ.: কংক্রিটের মেঝে আসলে খুব শক্ত, ফাটার কোনো আশঙ্কাই নেই!
প্র.: একটা দেয়াল বানাতে আটজন মানুষের যদি ১০ ঘণ্টা লাগে, চারজন মানুষের কত সময় লাগবে?
উ.: কোনো সময়ই লাগবে না, কারণ দেয়ালটা ততক্ষণে তৈরি হয়ে যাবে!
প্র.: আপনার এক হাতে যদি তিনটি আপেল ও চারটি কমলাথাকে, আর আরেকটি হাতে থাকে চারটি
আপেল ও তিনটি কমলা; তাহলে কী পেলেন আপনি?
উ.: বিশাল বড় হাত।
প্র.: এক হাতে একটা হাতিকে কীভাবে ওপরে তুলবেন?
উ.: এক হাতের আটবে এমন হাতিকে জীবনেও খুঁজে পাবেন না!
প্র.: একজন মানুষ কী করে আট দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে?
উ.: কোনো সমস্যা নেই, সে রাতে ঘুমাবে!
প্র.: নীল সাগরে যদি একটা লাল পাথর ছুড়ে মারেন, কী হবে?
উ.: যা হওয়ার তা-ই, পাথরটি ভিজে যাবে অথবা ডুবে যাবে টুপ করে।
প্র.: কোন জিনিসটি দেখতে একটি অর্ধেক আপেলের মতো?
উ.: আপেলের বাকি অর্ধেকটি।
প্র.: ব্রেকফাস্টে কোন জিনিসটা কখনোই খেতে পারেন না আপনি?
উ.: ডিনার।
প্র.: বে অব বেঙ্গল কোন স্টেটে অবস্থিত?
উ.: লিকুইড।

ওই সিট টা ফাকাই থাকল

২ ভদ্রমহিলা বাসে ১ সিটের জন্য তর্ক করছেন ...

এই দেখে এগিয়ে এলেন কন্ডাক্টর ... বললেন আপা সিট যেহেতু আর একটাই আছে ... আপনাদের মাঝে জিনি বেশি বয়সী প্লিজ তিনি ই বসুন ...
তারপর ??
.
.
.
.
.
.
.
.
তারপর আরকি ... ওই সিট টা ফাকাই থাকল কেউই বসল না আর :)

Monday, January 30, 2012

মানুষ যদি ডিম পাড়ত তাহলে কেমন হতো

মানুষের ডিম ও তার ভবিষ্যৎ
তাওহিদ মিলটন | তারিখ: ৩০-০১-২০১২

রিগ্যান ভাই আমাদের কলিগ। বিয়ের পর থেকেই নতুন বউয়ের সঙ্গে একটা মুহূর্তও যুক্তিতর্ক ছাড়া কাটাতে পারেননি তিনি। পারবেন কী করে, তাঁর বউ কলেজে বহুবার বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছিলেন। কখনো কখনো এমনও হয়েছে যে রিগ্যান ভাই প্রায়ই তর্কে হারিয়ে ফেলেছেন, ঠিক তখনই দেখা গেছে, ভাবি বলে বসলেন, ‘তোমরা ছেলেরা সন্তানের জন্য কী এমন কষ্ট করো! একজন মা ১০ মাস পেটে সন্তান ধরে যে কষ্ট করেন, তোমরা তো সারা জীবনেও সন্তানের জন্য এর সিকি ভাগের এক ভাগও কষ্ট করো না।’ রিগ্যান ভাই কট। মায়ের ব্যাপারে তাঁর অনুভূতি বেশ নরম। সে-ও একজন মায়ের সন্তান। এ নিয়ে কোনো যুক্তি দিতে গেলে বিষয়টা বুমেরাংয়ের মতো তাঁর ঘাড়েই আসবে। এটা রিগ্যান ভাই চান না। ফলে আপাতত যুদ্ধবিরতি। এভাবেই বেচারার দাম্পত্য জীবনের সুখের দিনগুলো কাটছিল!
সেদিন সকালে অফিসে এসে রিগ্যান ভাই একটা বোমা ফাটালেন।
‘আচ্ছা, মানুষ যদি ডিম পাড়ত তাহলে কেমন হতো!’
আমার তো মাথায় হাত! নিজেকে আমি এত চিন্তাশীল ভাবি অথচ এই সামান্য ভাবনাটা ভাবতে পারলাম না! আমি তো লাফিয়ে বলে উঠলাম, ‘কেমন হতো জানি না, তবে আপনার ভাবনাটা চমৎকার। সালভাদর দালির ভাবনার মতো।’
তিনিও হাতে মওকা পেয়ে বললেন, ‘ক্রিয়েটিভ কাজ করতে হলে একটু এই রকম ভাবতে হয়।’
ইউসুফ ভাই মুচকি হেসে বললেন, ‘রিগ্যান ভাই, এতে কিন্তু আপনার ঝামেলা আরও বাড়বে।’
‘কেন? বাড়বে কেন?’ রিগ্যান ভাইয়ের এমন চমৎকার ভাবনার ত্রুটি বের করা তাঁর পছন্দ হয়নি।
‘তার আগে আপনি বলেন তো আপনি কী ভেবে এ কথা বলেছেন?’
‘একটা জিনিস দেখেন, ডিম পাড়লে কী হতো? মেয়েদের বাচ্চা পেটে নিয়ে এত দিন কষ্ট করতে হতো না। চাকরি করতে পারত, কাজকর্মও করতে পারত। অফিসে মাতৃত্বকালীন ছুটি বলে কোনো বিষয় থাকত না।’
‘তাতে আপনার কী লাভ হতো?’
‘আরে, আমার আবার কী লাভ! আমি এমনি বললাম বিষয়টা। একবার ভেবে দেখতে তো দোষের কিছু নাই।’
‘রিগ্যান ভাই, তাতে আপনার যে কত বড় ক্ষতি হতো, সেটা কিন্তু আপনি ভাবতে পারেন নাই। তখন সেই ডিমে কাকে তা দিতে হতো—আপনি কি একবারও ভেবেছেন?’
‘কাকে তা দিতে হতো? যে ডিম পাড়বে সে-ই তো তা দেবে!’ রিগ্যান ভাই যেন হঠাৎ শূন্যে ভেসে উঠলেন।
‘জি না! এখনো চিনেন নাই, তখন কিন্তু আপনাকেই তা দিতে হতো সেই ডিমে! বিয়ের পর যেমন বউয়ের সব কথাই শুনতে হয় স্বামীকে, একইভাবে ডিমেও তা দিতে হতো। আপনাকেই তখন ডিমে তা দেওয়ার জন্য অফিস থেকে ১০ মাসের ছুটি নিতে হতো! ১০ মাস আপনি বসে বসে ডিমে তা দিচ্ছেন—এটা একবার ভাবুন তো!’
আলোচনা ঘুরে গেল অন্য দিকে। একটা মানুষ ডিমে তা দিচ্ছে, সেটা দেখতে কেমন লাগবে—এই সব। একজন বলল, ‘থিংকার স্কাল্পচারটার মতো লাগবে দেখতে, শুধু নিচে একটা ডিম।’
আরেকজন বলল, ‘ইয়া বড় এক ডিমের ওপর বসে আছেন রিগ্যান ভাই, এই ছবিটা ভাবতেই তো ভালো লাগছে।’
আরেকজন আলোচনায় পরে জয়েন করে প্রথমে পুরোটা বিস্তারিত শুনল। এরপর বলল, ‘এটা কোনো ব্যাপার! তা দেওয়ার জন্য লোক ভাড়া করব।’
‘আরে বাহ! তাই তো! এতে তাহলে বিশাল বড় একটা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতো! এভাবে তো ভেবে দেখা হয়নি!’ মাসুম ভাই এতক্ষণ পর মুখ খুললেন।
‘তখন একেকজন ভুয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে আনবে—ডিমে তা দেওয়ার সফল ১০ বছর! ১০ বছরে একটা ডিমও ভাঙেনি।’
এভাবেই আরও কিছুক্ষণ চলল মানুষের ডিম নিয়ে আলোচনা আর হাসাহাসি। এরপর যথারীতি অফিসে যা হয়—একটু পরে যে যার কাজে ডুবে গেল। ভুলে গেল সকালে কী যুগান্তকারী বিষয় নিয়ে সবাই উত্তেজিত ছিল। এভাবেই প্রতিদিন কত যুগান্তকারী আইডিয়া আড্ডার ছলে হারিয়ে যায়।

সবাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।’

এক দোকানে আগুন লেগেছে।
এটা দেখে গাবলু চিন্তা করল,
দোকানের ভেতর
আটকে পড়াদের উদ্ধার
করতে হবে। যেই ভাবা সেই
কাজ। গাবলু সোজা আগুন পেরিয়ে দোকানের ভেতর
ঢুকে ছয়জনকে বাইরে বেরকরে আনল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ
এসে গাবলুকে ধরেনিয়ে গেল।
পরে তার বন্ধু থানায়
গিয়ে পুলিশকে জিজ্ঞেস করল, ‘গাবলু তো আগুন
থেকে মানুষকে উদ্ধার
করেছে। সে তো কোনো অপরাধ
করেনি।’
কথা শুনে পুলিশ রেগে টং,
‘অপরাধ করেনি মানে? সে যাদের দোকান
থেকে বাইরে নিয়ে এসেছে,
সবাই ফায়ার সার্ভিসের
কর্মী।’

Monday, January 23, 2012

চার সর্দার বাবসায় নামলো

চার সর্দার বাবসায় নামলো।তাই তারা গাড়ি মেরামত এর দোকান দিল।কিন্তু!!!তাদের দোকানে লোক যায় না,কারন তাদের গ্যারেজ ৬তালায়!!!

বাবসায় মার খাবার পর তারা ঠিক করল এবার নিজেরাই ট্যাক্সি চালাবে।কিন্তু!!!তাদের ট্যাক্সিতে কেউ ওঠে না কারন তারা চারজনই গাড়িতে থাকে! :পি

এরকম হবার পর তারা মেজাজ খারাপ করে পাহাড় থেকে গাড়ি ফেলার সিদ্ধান্ত নিল।কিন্তু বিধিবাম গাড়ি পড়ে না!!!কারন তারা দুইজন সামনে দিয়া ঠেলে আর দুইজন পিছন দিয়া ঠেলে!!

গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে দিলো..

যোগাযোগ মন্ত্রীর গাড়ির সামনে পড়ে একটা বাচ্চা গাধা মারা গেছে ,
মন্ত্রী সাহেব গাড়ির ড্রাইভার কে বললেন গাধার মালিককে খুঁজে বের করতে...
কিন্তু ড্রাইভার যখন ফিরে আসলো তখন দেখা গেলো তার গলায় একগাদা ফুলের মালা।
মন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার ?
ড্রাইভার বলল, '' মানুষজন আমার কথা ভুলবুঝতেছে....আমি বললাম, ''
আমি যোগাযোগ মন্ত্রীর ড্রাইভার। গাধার বাচ্চা মারা গেছে "
সবাই এটা শুনে আনন্দ উল্লাস করতে করতেআমার গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে দিলো..

আপনি একা দাঁড়িয়ে আছেন

শিক্ষক একদিন ক্লাশে এসে সবাইকে প্রশ্ন করলো যে কে কে নিজেকে গাধা
ভাবিস দাঁড়িয়ে যা।স্যারের মুখে এমন কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল।
কিছুক্ষন এরকম থাকার পর সার যখন কিছু বলতে যাবে তখন
আবুল উঠে দড়ালো । স্যার তখন আবুল কে প্রশ্ন করল যে তাহলে
তুই নিজেকে গাধা ভাবিস। তখন আবুল উত্তর দিল-
.
.
.
.
.
.
.
.
.

"না মানে, স্যার দেখলাম আপনি একা দাঁড়িয়ে আছেন" ।তাই.........

আপনি উঠছেন না কেন?"

সাধুবাবা তার অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গোপসাগরে গেছেন স্নানের জন্য। উদ্দেশ্য পাপ ধুয়ে ফেলা। গোসল শেষ করে সবাই উঠলো কিন্তু সাধুবাবার ওঠার কোন নাম নেই।

তা দেখে একজন বলল, "কি সাধুবাবা, আপনি উঠছেন না কেন?"

সাধুবাবা উত্তরে বললেন, "বৎস, পাপ ধোয়ার সাথে সাথে গামছাটাও যে ধুয়ে চলে যাবে তা ভাবতেই পারিনি।"

আমার স্ত্রীর প্রথম স্বামীর।

জোকস ১৪৩।
অন্ধকার কবরস্থান। গত একমাস ধরে এক লোক প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার পথে একটি কবরের পাশে বসে বিলাপ করে,
“কেন তুমি মরে গেলে !! কেন? কেন? ”

কদিন ধরে এই দৃশ্য দেখে কবরস্থানের দারোয়ান একদিন তাকে সন্ত্বনা দেবার জন্য এগিয়ে এল।
: কার কবর এটা আপনার বাবার? না ভাইয়ের?

লোকটি ফুঁপিয়ে উঠে বলল, আমার স্ত্রীর প্রথম স্বামীর।

Friday, January 20, 2012

ভারতীয় পন্য বর্জন করুন, কারণ......

পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে ভারতের প্রতি আমাদের অনেক ভালোবাসা আছে এবং আজীবনই ভালোবাসতে চাই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে একতরফা ভালোবাসার কী কোন মূল্য আছে ? আমাদের তিতাস হত্যা, টিপাইমুখ বাধ দিয়ে আমাদের নদী গুলো মেরে ফেলার প্রাগৈতিহাসিক ষড়যন্ত্র, প্রয়োজনীয় পানির চুক্তি করা হলেও সেক্ষেত্রে দাদাগীরির পরিচয়, বারবার আলোচনার আর অভয় দিলেও সীমান্তে যখন-তখন বাংলাদেশীদেরকে হত্যা করা, আমাদের টিভি চ্যানেল ভারতে চলতে না দিয়ে বাংলাদেশে তাদের মিডিয়ার রাজত্ব করা ..............এভাবে লিস্ট করলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে । আমরা শুধু দিয়েই যাবো কিন্তু আমাদের অর্জন শূন্যই থেকে যাবে । আমার এক স্যার বলেছিলেন - আমি তোমাকে চাউল দিবো না কিন্তু আমাকে ভাত দিতে হবে !!! ভারত বাংলাদেশের অবস্থাও তাই হয়েছে।

প্রতিবাদ করার জন্য রাস্তায় যেয়ে দাঁড়াতে না পারলেও বাঙালি হিসাবে অন্তত এইটুকু করা আপনার পক্ষেও সম্ভব । আশা করি আমরা সবাই যদি তাদের পণ্য বর্জন করি তাহলে তাদের প্রতিষ্ঠান গুলোর যে ক্ষতি হবে তাতে একসময় তারাই তাদের সরকার কে চাপ দেবে যে টিপাইমুখ বাঁধ লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি করে ফেলছে । এটা বন্ধ করা উচিত। অনেকেই ইরাকে মার্কিন হামলার পর ইহুদি ও মার্কিন মালিকানাধিন কোম্পানির পণ্য বর্জন করেছিলেন । তাহলে আমাদের নিজের দেশের জন্য ভারতের পণ্য বর্জন করা তো আমাদের সবার দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়!
একটা তথ্যঃ Daily Star এর একটা রিপোর্ট অনুযায়ি আমরা প্রতিবছর ভারতীয় channel গুলো দেখার জন্য ২০০০ কোটি টাকা (দুই হাজার কোটি টাকা) দিয়ে থাকি।
আরেকটা তথ্য হলঃ এত বড় দেশ ভারতের সর্বমোট রফতানি আয়ের শতকরা সাত (৭%) ভাগ বাংলাদেশ থেকে যায়। আমাদের ভারতীয় পণ্য বর্জন নিশ্চিত ভাবেই তাদের দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রভাব ফেলবে।

ভারত থেকে চাল, ডাল, রশুন, পেয়াজ, মসলা, কাপড়, বস্ত্র, কিটনাশক, সার, বইপত্র, মেসিন, যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার, সফ্টওয়ার, গাড়ি আমদানি না করলেই হয়। তাতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

নিচে বাংলাদেশে প্রচলিত ভারতীয় পন্যের একটা তালিকা দিচ্ছি, সেই সাথে আমার পরিচিত বিকল্প পন্যের নাম অথবা ধরন (যেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতের পন্যের চেয়ে গুণগত মানে ও দামে অনেক ভাল)। আপনারা আরও যোগ করতে পারেন।

> এয়ারটেল (Airtel) [আপনার Airtel sim টা ফেলে দিন, আপনার নিশ্চয়ই আরও sim আছে]
> Lays chips, Kurkure chips [Lays এর বিকল্প বাংলাদেশি Sun chips, একই স্বাদ, দাম কম]
> Cadbury, Chlormint, Alpenliebe, centerfresh, mentos, air action, chocolate [বাংলাদেশি অনেক মানসম্মত চকলেট আছে, chocolate কেনার আগে পেছনে দেখে নেবেন দেশি company’র নাম]
> Hajmola, Dabur products [হাজমলা, ডাবুর চবনপ্রাস, ডাবুরের সব পণ্য]
> Parle G এবং অন্যান্য ভারতীয় বিস্কুট। [বাংলাদেশি biscuit এর মান ওদের চেয়ে অনেক ভালো!]
> Micromax, Hitech, Karbonn, Lava মোবাইল সেট।
> Maruti, Swaraz Mazda, Tata, Hindustan গাড়ি ও ট্রাক। [আমরা তো জাপানিতেই অভ্যস্ত, এখন ভারতীয় গুলো না কিনলেই চলে]
> Bajaj pulsar, TVS, Hero Honda, Yamaha (India Made) [দেশি Walton একদম খারাপ না]
> Videocon, Whirlpool (India Made) [দেশি Walton অথবা ভারতীয় ছাড়া অন্য Brand কিনুন]
> Titan ঘড়ি [অনেক সমমানের ঘড়ি বাজারে আছে এরচেয়ে কম দামে!]
> VLCE, Dermo viva, Chic, Veet, Vatika (Dabur), Medimix, Set Wet, Softee, Himalaya, Garnier, Lakme (লাকমে) কসমেটিকস, ফেসওয়াশ, মেকাপ আইটেম ও ক্রিম. [দেশি ব্র্যান্ড এর গুলো খুঁজে নিন, square, cute, keya, kohinoor এর মানসম্মত দেশি কসমেটিকস আছে, কসমেটিকসের ক্ষেত্রে ভারতীয়র বদলে থাইল্যান্ডের টা খুঁজে নিন]
> Colgate (India Made), Meswak, Dabur Red, Active টুথপেস্ট [দেশি টুথপেস্ট অনেক ভালো]
> Jatak, Set wet, Wild Rain deodorant spray (পারফিউম ও স্প্রে)
> Cello, Montex, Nataraj, Camel পেন্সিল, রঙপেন্সিল, কলম, রঙ।
> Whisper toiletries.
> Asian Paint, Fevicol. (বিকল্প অনেক রঙ আছে বাজারে)
> Raymond ফেব্রিক ও টেইলর.
> সবরকম Dabur (ডাবুর), Godrej (গোদরেজ) ও Amul (আমুল) পণ্য।
> Birla Ultratech Cement বিড়লা আলট্রাটেক সিমেন্ট ও বিড়লার সব পণ্য [আমাদের দেশি সিমেন্ট বিদেশে রফতানি হয়! ওদেরটা কেন কিনবেন?]
> Ujala (ঊজালা), হুইল (Wheel) সাবান, নীল ও Detergent (এদের চেয়ে উন্নত দেশীয় অনেক পণ্য আছে)
> দোকানে পেঁয়াজ, রশুন, ডাল কেনার সময় ইন্ডিয়ান এর পরিবর্তে অন্যটা খুঁজবেন। [হয়ত এখনি ভাল বিকল্প পাবেন না তবে চেষ্টা করতে থাকলে আমাদের নিজেদেরই স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসবে]
> Soffola gold সয়াবিন তেল, Dalda বনস্পতি [অন্য অনেক সয়াবিন তেল ও বনস্পতি তেল আছে বাজারে]
> Parachute নারিকেল তেল [জুই, লালবাগ এইসব নারিকেল তেল ব্যবহার করুন, একজন কেমিস্ট আমাকে বলেছে Parachute নারিকেল তেলে সবচেয়ে বেশি artificial কেমিকেল থাকে]
> Move Pain Relief Cream ব্যথানাশক ক্রিম [বাংলাদেশি Icycool ক্রিম ব্যবহার করুন, যেকোনো ফার্মেসিতে পাবেন, একই কার্যকারিতা, দাম কম]
> Dermicool Powder গরমকালে ব্যবহৃত পাউডার [দেশি কোহিনুর এর IceCool, কম খরচে একই মানের গরম ও ঘামাচির পাউডার]
> Dabur Honey ভারতীয় এই মধুর চেয়ে আমাদের 'প্রশিকার লিচু, সরিষা আর সুন্দরবনের মধু' অনেক অনেক ভালো! ব্যবহার করে দেখুন।
> Hero, Atlas সহ অন্যান্য ভারতীয় সাইকেল ও ভারতীয় সাইকেল পার্টস। [বিকল্প আছে বাজারে]
> Hawkins, Prestige প্রেসার কুকার ও ক্রোকারিজ [বাংলাদেশি কিয়াম Kiam ব্যবহার করুন, মান ভাল দামও কম]
> Archies greetings card [এখন আজাদ, আইডিয়াল এদের ভাল কার্ড পাওয়া যায়, একটু খুঁজে নিন]
> Arvind, Raid & Tailors ভারতে তৈরি সার্ট, প্যান্ট ও সুট এর কাপড় [বাজারে আমাদের নিজস্ব অল্প কিছু কাপড় আছে তবে কোরিয়ান সহ আরও অনেক ব্র্যান্ড পাওয়া যায়]
> সানন্দা, আনন্দলোক (ভারতীয়), stardust সহ অন্যান্য ভারতীয় বিনোদন ম্যাগাজিন (internet এর যুগে কি আসলেই ওদের পত্রিকা কিনে পড়ার দরকার আছে?)
> ভারতীয় শাড়ি ও অন্যান্য জামা [শাড়ি কেনার জন্য দেশিটা বেছে নিন... প্রাইড, জনি প্রিন্ট সহ আরও অনেক উন্নত মানের শাড়ির আছে, এছাড়া মিরপুরের কাতান, জামদানি এদের উপরে ভালো শাড়ি ভারতেও কম হয়]
> Starplus, Zee, Sahara সহ সব ভারতীয় Channel (যারা ভারতীয় পন্যের Advertisement দেখায়)
[এইসব Channel এ Parental Lock দিয়ে রাখুন, বিশ্বাস করুন, এই Channel গুলো না দেখলে ভারতীয় পন্যের প্রতি আপনার আকর্ষণ আপনা আপনি অর্ধেক হয়ে যাবে!]




ইউটিউব ভিডিও

কেউ একজন আমাকে আমার হলুদ প্যান্টটা দাও।

জাহাজের ক্যাপ্টেন তার জাহাজ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সোমালীয় উপকূলের কাছ দিয়ে। হঠাৎ তিনি দেখতে পেলেন দিগন্তরেখা পেরিয়ে ধেয়ে আসছে এক জলদস্যুর জাহাজ। কাপ্তান জোর কণ্ঠে বাদবাকি নাবিকদের বললেন, “সবাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। আর কেউ একজন আমাকে আমার লাল জ্যাকেটটা দাও।”

একজন নাবিক ক্যাপ্টেনকে তার লাল জ্যাকেটটা এনে দিল, আর ক্যাপ্টেন চটপট সেটা পরে নিলেন। জলদস্যুরা নিকটবর্তী হলে দুইপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ হল। ক্যাপ্টেনের দক্ষ নেতৃত্বের সামনে জলদস্যুরা চরমভাবে পরাজিত হল।

কিছুক্ষণ পরে ক্যাপ্টেন আবারো দেখলেন আরেকটা জলদস্যুর জাহাজ তেড়ে আসছে। আবারও ক্যাপ্টেন যুদ্ধপ্রস্তুতির ঘোষণা দিলেন আর তাঁকে তাঁর লাল জ্যাকেটটা দিতে বললেন। নাবিকদল, জলদস্যুদের এই জাহাজটাকেও চরমভাবে পর্যদুস্ত করলো।

যুদ্ধ শেষ হলে এক নাবিক এসে কাপ্তানকে জিজ্ঞেস করলেন “প্রতিবারই যখন জলদস্যুরা আমাদের লুটতে আসে, তখন আপনি আপনার লাল জ্যাকেটটা পরে তাদের সাথে লড়তে যান কেন?”

ক্যাপ্টেন জবাবে বললেন, “শোন, এটা হচ্ছে পুরাই একটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। যদি আমি লাল জ্যাকেট পরে থাকি, তখন আমি যদি কোনভাবে আহতও হই, বাদবাকি নাবিকেরা তৎক্ষণাৎ সেটা বুঝতে পারবেনা। ফলে তাদের মনোসংযোগ কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন হবেনা আর লড়াই করার তাড়না সর্বদা জিইয়ে থাকবে।”

নাবিকেরা তাদের ক্যাপ্টেনের উন্নত মনস্তাও্বিক রণকৌশল বুঝতে পারলো, আর ভীষণভাবে গর্বিত হলো এমন একজন সাহসী আর বিচক্ষণ লোকের অধীনে কাজ করতে পেরে।

এমন সময় সুদূর দিগন্তে দেখা গেল, একটা নয়, দুটো নয়, দশ-দশটা জলদস্যু বোঝাই জাহাজ। উত্তাল সমুদ্রস্রোত কেটে, খুলির নিশান উড়িয়ে, দ্রুতলয়ে সেগুলো এগিয়ে আসতে থাকলো। ক্যাপ্টেন সেইদিকে দেখে কিছুক্ষণ চুপসে থাকলেন। তারপর মাইক হাতে ঘোষণা দিলেন, “সবাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। আর কেউ একজন আমাকে আমার হলুদ প্যান্টটা দাও।

Monday, January 16, 2012

অঞ্জন দত্তের বিখ্যাত গান, ‘এটা কি ২৪৪১১৩৯?'

অঞ্জন দত্তের বিখ্যাত গান, ‘এটা কি ২৪৪১১৩৯?' কিন্তু বেলা বোস উত্তরে কী বলেছিলেন, সেটা কি কেউ জানে? এত দিন জানত না কেউ।
বেলা বোস বলেছিলেনঃ

চাকরিটা ওগো পেতেই পারো তুমি
তবুও তোমায় বানাব না যে স্বামী
সম্বন্ধটা ভাঙব কেন, কিসের এত ঠ্যাকা?
চাকরি পেলেও তোমার বাপের আছেই বা কয় ট্যাকা?
স্টার্টিংয়ে ওরা ১১০০ দিক, আমার কী হলো তাতে?
চাইনিজে যেতে ২২০০ লাগে, মরতে চাই না ভাতে।
চুপ কর গাধা মাফ কর মোরে
দে ছেড়ে দে লাইন।
হ্যাঁ, এটাই ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস আমি, শুনতে পাচ্ছি ফাইন।
মিটার বাড়ুক তোমার পাবলিক টেলিফোনে
মোবাইল তো আর পারবে না দিতে কিনে।
স্বপ্নের আমি গুষ্টি কিলাই শুনো।
এত দিন ধরে আমি মরি মরি।
রাস্তার কোনো সস্তা হোটেলে
বদ্ধ কেবিনে বন্দী দুজনে
তুমি শুধু টানতে কেবল বিড়ি।
প্রতিদিন আমি বিল দিয়েছি পারব না দিতে আর।
জঞ্জাল ভরা মিথ্যা শহরে হবে না
তোমার আমার টানাটানির সংসার।
চুপ করে তুমি কাঁদছ ফুঁপিয়ে।
ভালো একটা মেয়ে দেখে করে ফেলো এবার বিয়ে।
মরে গেলেও তোমার কাবিনে করব না আমি সাইন।
হ্যাঁ, এটাই ২৪৪১১৩৯।

Sunday, January 15, 2012

মোটামুটি এক শিক্ষিত গৃহবধু তার স্বামীকে চিঠি লিখেছে

মোটামুটি এক শিক্ষিত গৃহবধু তার স্বামীকে চিঠি লিখেছে। সে যতিচিন্যের ব্যবহার ঠিক ভাবে জানে না। আসল চিঠিটি হবে এইরকম-
প্রিয় কুদ্দুস,
তুমি সারাটা জীবন বিদেশে কাটাইলে। এই ছিল আমার কপালে। আমার পা ফুলিয়া উঠিয়াছে। উঠানটা জলে ডুবিয়া গিয়াছে। ছোট খোকা স্কুলে যাইতে চায় না। ছাগল ছানাটা সারাদিন ঘাস খাইয়া ঝিমাইতেছে। তোমার বাবা পেটের অসুখে ভুগিতেছে। বাগানটা আমে ভরিয়া উঠিয়াছে। ঘরের ছাদ স্থানে স্থানে ফুটা হইয়া গিয়াছে। গাভির পেট দেখে মনে হয় বাচ্চা দিবে। করিমের বাপ রোজ ২ সের করিয়া দুধ দেয়। বড় বউ রান্না করিতে গিয়া হাত পুরাইয়া ফেলিয়াছে। কুকুর ছানাটি সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে। বড় খোকা দাড়ি কাটিতে গিয়া গাল কাটিয়া ফেলিয়াছে। মজিদের মা প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে। মজিদের বাপ বার বার ফিট হইয়া যাইতেছেন। ডাক্তার সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন। এমতাবস্থায় তুমি অবশ্যয় বাড়ি ফিরিবে। না ফিরিলে রাগ করিব।
ইতি
তোমার বউ!

যেহেতু সে যতিচিন্যের ব্যবহার ঠিক ভাবে জানে না, সে সব কিছু উল্টা-পাল্টা করে ফেলল। তার চিঠিটি হয়ে গেল নিম্নরুপ-

প্রিয় কুদ্দুস,
তুমি সারাটা জীবন বিদেশে কাটাইলে এই ছিল। আমার কপালে আমার পা। ফুলিয়া উঠিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবিয়া গিয়াছে ছোট খোকা। স্কুলে যাইতে চায় না ছাগল ছানাটা। সারাদিন ঘাস খাইয়া ঝিমাইতেছেন তোমার বাবা। পেটের অসুখে ভুগিতেছে বাগানটা। আমে ভরিয়া উঠিয়াছে ঘরের ছাদ। স্থানে স্থানে ফুটা হইয়া গিয়াছে গাভির পেট। দেখে মনে হয় বাচ্চা দিবে করিমের বাপ। রোজ ২ সের করিয়া দুধ দেয় বড় বউ। রান্না করিতে গিয়া হাত পুরাইয়া ফেলিয়াছে কুকুর ছানাটি। সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে বড় খোকা। দাড়ি কাটিতে গিয়া গাল কাটিয়া ফেলিয়াছে মজিদের মা। প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে মজিদের বাপ। বার বার ফিট হইয়া যাইতেছেন ডাক্তার। সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন। এমতাবস্থায় তুমি অবশ্যয় বাড়ি ফিরিবে না। ফিরিলে রাগ করিব।
ইতি
তোমার বউ

প্রাইম মিনিস্টার একটা কুত্তা

এক লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে গলা উঁচিয়ে চিত্‍কার করে বলছে
" প্রাইম মিনিস্টার একটা কুত্তা !! "

কিছুক্ষনের মধ্যেই সে এক পুলিশের হাতে ধরা পরলো । পুলিশ কষে একটা চড় মেরে বললো,
" থানায় চল । শালা, প্রাইম মিনিস্টারকে অপমান করোছ, না? "

লোকটা উত্তর দিলো, " আমি তো জাপানের প্রাইম মিনিস্টারের কথা বলতেছিলাম "!
পুলিশ তাকে আরো ২টা হেভি থাপপড় লাগিয়ে বললো ,
" আমারে বেকুব পাইছোস ? আমি ভালোমতোই জানি কোন প্রাইম মিনিস্টার কুত্তা !

প্রবল ঝাঁকুনিতে আবুল সাহেবের ঘুমটা ভেঙে গেল

আবুল সাহেব মৃত্যুর পরে দেখিলেন উনার সামনে দুইটা লাইন, স্বর্গের আর নরকের। উনি বিশাল ভাব লইয়া গটগট কইরা স্বর্গের দরজা দিয়া ঢুকতে নিলেন।
স্বর্গের প্রহরী উনাকে গেটে আটকাইয়া ডেটাবেজ চেক কইরা কহিল, তোমার নাম নাই লিস্টে, তোমারে ঢুকতে দেয়া যাইবো না।
আবুল সাহেব বত্রিশ পাটি দন্ত বিকশিত করিয়া বললেন, কি যে বলেন না আপনারা, আমার নাম থাকবে না! ভাল করে দেখেন, ... দুই দুইটা মিনিস্ট্রি চালায়া আসলাম ...
প্রহরী গম্ভীর গলায় বলিল, তুমি পলিটিশিয়ান? তাইলে তুমি নরকে গিয়া খোঁজ নাও। দেখ নরকের লিস্টে হয়তো তোমার নাম আছে।
আবুল সাহেব এইবার পাট নিয়া কহিলেন, আমি নরকে যাব? নেভার! আমি দৌড়ে ফার্স্ট হয়া মিনিস্টার হইছি ...
গেলি, হতচ্ছাড়া.... বলিয়া স্বর্গের প্রহরী লাঠি লইয়া আবুলকে নরকের পানে খ্যাদাইয়া লইয়া গেল।

জীবনের সকল পাপ কাজের কথা স্মরণ কইরা চুল ছিঁড়িতে ছিঁড়িতে আবুল সাহেব নরকের গেটে আইসা খাড়াইলেন।
তেনার নাকে নরকের তীব্র পুঁতিগন্ধ আসিয়া হানিল।
নরকের প্রহরী আবুলকে দেখিয়া এটিএম শামসুজ্জামান স্টাইলে হাসিয়া কহিল, আস আবুল মিয়া, তোমারেই খুঁজতেছি ম্যালাদিন ধইরা!!! আইজকা পাইছি, বানামু তোমারে।
আবুল সাহেব ক্ষীণ গলায় কহিলেন, লিস্ট চেক করবেন না?
প্রহরী কয়, লিস্ট দিয়া কি হইবো? কথা বাড়াইয়ো না, সোজা নরকে ঢুইকা পড়, পরে আইসা লিস্টে সাইন কইরা যাইও। তোমারে আইজকা সাইজ করুম।
আবুল সাহেব শেষ চেষ্টা হিসেবে ঘাড়ত্যাড়ামী করিয়া কহিলেন, সাইন না কইরা ঢুকুম না।
প্রহরী চোখ লাল কইরা খাতা খুলিয়া কহিল, খাড়া, তোরে সাইন করাইয়া লই একবার।

মিনিটখানেক পরে নরকের প্রহরী লিস্ট চেক করিয়া মাথা চুলকায়া কয়, তোমার নাম তো নাই লিস্টে! খাড়াও তো কম্পিউটারে দেখি একটু।

আবুল মিয়া বিশাল পাট নিয়া কহিলেন, আপনারা আসলে কোন কাজেরই না, আমাকে দেখেন, দুই দুইটা মিনিস্ট্রি চালায়া আসলাম...
প্রহরী বিরক্ত মুখে কহিল, ব্যাটা আবুল, দেখতাছস না ডেটাবেজে চেক করতাছি...
মিনিটখানেক পরে প্রহরী বিড়বিড় করিয়া কহিল, ডেটাবেজে গন্ডগোল নাকি? ঢুকতেছে না ক্যান?
সাথে সাথে আবুল সাহেবের মুখ দিয়া কথার তুবড়ি ছুটিল।
পাইছেন কি আপনেরা? স্বর্গেও ঢুকতে দিবেন না, নরকেও দিবেন না, আমি তাইলে কই থাকুম, ফুটপাতে? না, না, এসব মেনে নেয়া যাবে না। আমি চললাম ঈশ্বরের কাছে। আপনাদের নামে কমপ্লেইন করতে হবে।

কমপ্লেইনের কথা শুইনা প্রহরী ভড়কাইয়া গিয়া কহিল, খাড়াও, মনে হইতেছে সফটওয়্যারে প্রবলেম, ডেটাবেজটা চেক কইরা দেখি, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাসওয়ার্ডটা যেন কি ছিল... প্রহরী পাসওয়ার্ড মনে করার চেষ্টা করিতে লাগিল।
অ্যাডমিন শব্দটা কানে পৌঁছিবামাত্র আবুল সাহেব গড় গড় করিয়া বলিতে লাগিলেন, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন? অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কেমনে করতে হয়, আমার কাছ থেকে শিখেন আপনারা... দুই দুইটা মিনিষ্ট্রি চালাইয়া আসলাম... দৌড়ে ফার্স্ট হইলাম, আর সেই আমার নামই আসে নাই! কমপ্লেইন আমি করুমই। আই এম এ কমপ্লেইন বয়!

এইদিকে চেঁচামেচি শুনিয়া উৎসুক জনতা ভিড় জমাইলো তামশা দেখিতে। দুই একটা মিডিয়ার ক্যামেরাও দেখা গেল লাইভ কাভারেজের পাঁয়তারা করিতেছে।
এতলোক সমাগম ও মিডিয়ার সাংবাদিক দেখিয়া নরকের প্রহরী নিচু গলায় বলল, শুনো আবুল মিয়া, কমপ্লেইন কইরা কি ফায়দা হইবো... তারচেয়ে আমরা একটা মিটমাটে আসি...
আবুল সাহেব ক্যামেরায় পোজ দেওয়ার জন্য চুল ঠিক করিতে করিতে বলিলেন, এতক্ষণে লাইনে আইছো মামা। শুনি কি মিটমাট?
প্রহরী গলার স্বর খাদে নামাইয়া বলিল, এক কাম করো, তোমারে আবার দুনিয়াতে ফেরত পাঠাইতেছি, চুপচাপ ভাইগা যাও।
আবুল সাহেব চিন্তা করিয়া দেখিলেন, অফার মন্দ নহে। আগের বার পদ্মা সেতু নাহয় মিস হয়া গেছে, কিন্তু এইবার, নতুন অপটিক্যাল ফাইবারের টেন্ডার খালি একটা বাগাইতে পারলে হয় এইবার, আর মিস করা যাইবো না...

আবুল সাহেব এমন ভাব দেখাইলেন যেন, নরক উনার অতি প্রিয় স্থান, দেখিতে না পারিয়া উনার হৃদয় ভগ্ন হইয়াছে।
উনি মুখ ফিরাইয়া "এইবারের মত ছাইড়া দিলাম" লুক দিয়া কহিলেন, পরের বার কিন্তু আর এইসব চলবে না বলে দিচ্ছি।
প্রহরী শুধু বলিল, সেইটা পরে দেখা যাবে। তুমি যাও তো আগে।
আবুল সাহবে কহিলেন, কিন্তু আমারে কেমনে দুনিয়াতে ফেরত পাঠাইবেন?
প্রহরী মুচকি হাসিয়া কহিল, চোখ বন্ধ কইরা যে কোন একটা গানের প্রথম কয়েক লাইন গাও, তারপরে চোখ খুললেই দেখবা তুমি দুনিয়াতে আছ।
বিজয়ীর হাসি দিয়া আবুল সাহেব খুশিমনে চোখ বন্ধ করিয়া উনার অতি প্রিয় সঙ্গীত গাহিয়া উঠিলেন...
"সুঁই হয়ে ঘরে ঢুকে ফাল হয়েছে, আআআবুল মামা...."

তিন সেকেন্ড পরেই তীব্র কটু গন্ধ উনার নাকে লাগিল। চোখ খুলিয়া তিনি রাগের চোটে চিৎকার করিয়া উঠিলেন।
কিন্তু বিধিবাম!
উনার গলা দিয়া কক কক ছাড়া আরো কোন শব্দই বাহির হইলো না। অবাক হইয়া উনি খেয়াল করিলেন, সিস্টেমে সমস্যার কারণে উনি এইবার মানুষের বদলে মুরগী হইয়া জন্মাইয়াছেন।
তাও আবার ফার্মের মুরগী। তীব্র কটু গন্ধ আর কিছুই নহে, মুরগীর বিষ্ঠার গন্ধ।

আবুল সাহেব সাহেব ঘটনা বুইঝা কপাল চাপড়াইবার ব্যর্থ চেষ্টা করিলেন আর ভাবিলেন, ব্যাটা মোরগ বানাইলেও তো পারতি, বানাইলি মুরগী। আর মুরগীই যখন বানাবি, দেশী মুরগী বানাইতি, তা না, এক্কেবারে ফার্মের মুরগী!!!
তিনি মনে মনে বারংবার নরকের প্রহরীর গুষ্টির সহিত সঙ্গম করিবার ইচ্ছা পোষণ করিতে লাগিলেন।

এমন সময় উনার পাশের মুরগীটা উনারে কক কক করিয়া বলিল, হায় হায়, তুই এখনো ডিম পাড়োস নাই, তাড়াতাড়ি ডিম পার, ফার্মের মালিক অলরেডি ডিম কালেক্ট করা শুরু কইরা দিছে আজকে।
আবুল সাহেব রাগের চোটে কহিলেন, ডিম পারুম না, আমার ইচ্ছা! আমার ডিম আমি পারুম, যখন ইচ্ছা তখন পারুম, কার বাপের কি রে!
পাশের মুরগীটা তখন মুখ ফিরায়া কহিল, ডিম না পারলে তোরে জবাই কইরা রোস্ট বানায়া খাবে ফার্মের মালিক। রোস্ট হইতে চাইলে পারিস না। কার বাপের কি!
আবুল সাহেব ঢোক গিলিয়া কহিলেন, কস্কি মমিন!!!

আবুল সাহেব দেখিলেন, ফার্মের মালিক তাহার পাশের খাঁচা অব্দি আসিয়া পড়িয়াছে।
জান বাঁচানো ফরজ, তাই আবুল সাহেব তার পাশের মুরগীটাকে হাতে পায়ে ধরিয়া কহিলেন, দোস্ত, ডিম যেন কেমনে পারে? একটু ক তো দোস্ত, ভুইলা গেছি, তাড়াতাড়ি, আমি রোস্ট হইতে চাই না।
পাশের মুরগীটা একটু অবাক হইয়া পা ছড়াইয়া বলিল, এইভাবে কোঁৎ দে।
আবুল সাহেব কোঁৎ দিয়া বলিলেন, এইভাবে?
পাশের মুরগীটা বলিল, আরো জোরে... আরো জোরে...
আবুল সাহেব আরো জোরে কোঁৎ দিয়া বলিলেন, ডিম আসে না ক্যান?
পাশের মুরগীটা বলিল, ব্যাটা আবুল কোনহানকার, আরো জোরে দে, ডিম আসলো বইলা...
ততক্ষণে ফার্মের মালিক আবুল সাহেবের সামনে আইসা পড়ছে।
আবুল সাহেব শেষ চেষ্টা হিসাবে, চোখ বন্ধ কইরা দাঁতে দাঁত চাপিয়া সর্বশক্তিতে কোঁৎ দিলেন।
হলো না...
আবার দিলেন...
হলো না...
আবার....
আবার...
...
:
:...
এক সময় প্রবল ঝাঁকুনিতে আবুল সাহেবের ঘুমটা ভেঙে গেল।
উনার মিসেস বলছেন, অ্যাই তুমি তাড়াতাড়ি উঠ তো, পুরা বিছানা তো হাইগা ভরায়া ফেলছ!

Thursday, January 12, 2012

জয় বঙ্গবন্ধু, জয় জিয়া!! বাংলাদেশ জিন্দাবাদ! ! সরকার দীর্ঘজীবী হোক!!

এক বাংলাদেশী লোক একবার একটা মাছ ধরলো!!
বাসায় এনে রান্না করবে!! পানি গরম করার
জন্য পানির কল ছাড়ল, কিন্তু বাসায়
... পানি নাই!! লোকটি চিন্তা করলো, কি আর
করা!! বরং ভেজেই খাই!! চুলা জ্বালাতে গেল,
গ্যাসের কোনো হদিস নাই!! লোকটি এবার খানিক
চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলো,
মাছটি ওভেনে রান্না করবে!! যেই ওভেনের সুইচ
চাপল, দেখে কারেন্ট নাই!! লোকটি মন খারাপ
করে ভাবতে লাগলো, খেতেই যখন
পারছি না তাহলে মাছ দিয়ে আর কী হবে!!
সে মাছটি নিয়ে গিয়ে যেখান থেকে ধরেছে,
সেখানে ছেড়ে দিলো!! পানিতে পড়েই
মাছটা চেঁচিয়েউঠল , 'জয় বঙ্গবন্ধু, জয় জিয়া!!
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ! ! সরকার
দীর্ঘজীবী হোক!!" :

আমি আসলে যে মোরগ!!

ক্রমাগত লস খাওয়ার পর এক বাংলাদেশী পোল্ট্রি ব্যবসায়ী একবার ক্ষেপে গিয়ে তার সকল মুরগীদের বললেন,
“আগামীকাল থেকে যদি প্রতিদিন ২টা করে ডিম না দিস তাইলে ধরে জবাই করে খেয়ে ফেলব!!”
এরপর থেকে প্রত্যেকটা মুরগীই প্রতিদিন ২টা করে ডিম দিতে লাগলো!!
.....শুধু একটা বাদে!!
ঐটা প্রতিদিন একটা করেই ডিম পারতে লাগলো!!
... ব্যবসায়ী ক্ষেপে গিয়ে বললেন, “কিরে!! তোর তো সাহস কম না!! এতো বড় হুমকি দিলাম, এরপরও একটা করে ডিম পারতেসিস!! ”
তিনি উত্তর পেলেন,
জনাব!! আপনার ভয়ে তাও তো বহু কষ্টে একটা করে ডিম পারতেসি!! আমি আসলে যে মোরগ!!








Wednesday, January 11, 2012

সার চায়ের আগে আঙ্গুলটা ওখানেই চিল।

অফিসের বস মিটিংয়ে ব্যাস্ত ওবস্থায় চাকরকেবলল চা দিতে।
চাকর চা নিয়ে আসছে হটাত বস দেখল চাকর চায়ের ভিতরএকটা আঙ্গুল ডুবিয়ে রেখেছে।
বস মহা ব্যাস্ততার ভিতর ভুলে গিয়ে চা খেয়ে নিল।
পরে মনে হোল চাকর তো চায়ের ভিতর আঙ্গুল দিয়ে রেখেছিল।
বস ভীষণ রাগে চাকরকে ডাকল।
বসঃ তুই আমার চায়ের ভিতরআঙ্গুল দিয়ে রাখছিলি কেন?
চাকরঃ সার আঙ্গুলে ঘা হয়েছে তাই ডাক্তার বলেছে সবসময় গরম পানির ভিতর ডুবিয়ে রাখতে।
বস রেগে গিয়ে বলল আঙ্গুলটা তোর পাছার ভিতর দিয়ে রাখতে পারলিনা?
চাকরঃ সার চায়ের আগে আঙ্গুলটা ওখানেই চিল।








Thursday, January 5, 2012

ঠিক বুঝতে পারছিলাম না!

খেলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আহত হলেন একজন ব্যাটসম্যান।
ফিজিও: কী সমস্যা বোধ করছ?
ব্যাটসম্যান: আমি সবকিছু তিনটা দেখতে পাচ্ছি!
ফিজিও: সমস্যা নেই। তিনটাবলের মধ্যে তুমি শুধু মাঝখানের বলটা মারবে।
পরের বলেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরল ব্যাটসম্যান।
ফিজিও: কী ব্যাপার? তুমি মাঝখানের বলটা খেলোনি?
............
ব্যাটসম্যান: খেলেছি। কিন্তু কোন ব্যাটটা দিয়ে মারব, ঠিক বুঝতে পারছিলাম না!

আপনি ছিলেন একজন বোলার!

প্রবীণ ক্রিকেটার বলছে একনবীন ক্রিকেটারকে, ‘জানো, আমি যখন খেলতাম, তখন প্রতি ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে আমার নামের পাশে ১০০ কিংবা তারও বেশিরান থাকত।’
..........
নবীন ক্রিকেটার: জানি। এবং এ-ও জানি, আপনি ছিলেন একজন বোলার!









আপনি যা বলেন!!!!

স্বামী ,স্ত্রী কে আজ কি রান্না হবে?
স্ত্রীঃ আপনি যা বলেন
স্বামীঃ আচ্ছা মাছ রান্না কর।
স্ত্রীঃ গতকাল ই না করলাম
স্বামীঃ তাহলে সবজী রান্না কর।
স্ত্রীঃ বাচ্চারা পছন্দ করেনা
স্বামীঃ তাহলে কিমা রান্না কর।
স্ত্রীঃ এটা তো আমি পছন্দ করিনা
স্বামীঃ হুম পরটা হলে কেমন হয়।
স্ত্রীঃ রাতে পরটা কে খাবে !!
স্বামীঃ তাহলে আজ রান্নাটা হবে কি?
স্ত্রীঃ আপনি যা বলেন!!!! :P

যারা কানে শুনতে পায় না তারাও যেনো এঞ্জয়করতে পারে...

গ্যাস ছাড়লে এতো গন্ধ হয়কেনো!!!!???
কেন? একটু চিন্তা করুন!
'' ''
'' ''
'' ''
উত্তরঃ যারা কানে শুনতে পায় না তারাও যেনো এঞ্জয়করতে পারে...

এক মিনিট অপেক্ষা করো বৎস।

মানুষঃ হে সৃষ্টিকর্তা এক হাজার বছর কতো দীর্ঘ?
সৃষ্টিকর্তাঃ আমার কাছে এক মিনিটের মত।
মানুষঃ এক কোটি ডলার কতো আপনার কাছে?
সৃষ্টিকর্তাঃ আমার কাছে এক পয়সার মতো।
মানুষঃ আমাকে একটা পয়সা দেবেন?
সৃষ্টিকর্তাঃ এক মিনিট অপেক্ষা করো বৎস।

Wednesday, January 4, 2012

অন্ধকার romantic মূহুত...

অন্ধকার romantic মূহুত...
মেয়ে;কান পেতে দেখ আমার প্রতিটি হ্রদস্পন্দন তোমার কথা বলছে।
--------------- -
মেয়ে;আরে...তুমি আমার মাথায় কান পাতছ কেন??
-
-
-
-
ছেলে;ও!!তাই তো বলি...খালি কলশির টুং টাং...আওয়াজ শুনি কেন!!!

মাত্র দুটি শব্দ

একজন সফল ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার নিতে গেছেন এক সাংবাদিক।
সাংবাদিক: আপনার এই সাফল্যের রহস্য কী? বিস্তারিত বলবেন?
ব্যবসায়ী: মাত্র দুটি শব্দ। ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’।
সাংবাদিক: কীভাবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হন, বিস্তারিত বলবেন?
ব্যবসায়ী: একটি শব্দে আপনি এ প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। আর তো হলো ‘অভিজ্ঞতা’।
সাংবাদিক: কীভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন?
ব্যবসায়ী: আবারও দুটি শব্দ।
সাংবাদিক: কী সেটা?
ব্যবসায়ী: ভুল সিদ্ধান্ত!

পুরো বছরের জন্য গেট পাস নিতে কত লাগবে?

কলেজের প্রথম দিন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলছেন ডিন:
ছেলেরা মেয়েদের হোস্টেলে এবং মেয়েরা ছেলেদের হোস্টেলে ঢুকতে পারবে না। যদি প্রথমবারের মতো কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে ২০ ডলার জরিমানা করা হবে।
যদি দ্বিতীয়বারের মতো কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে ৬০ ডলার জরিমানা করা হবে। আর কেউ তৃতীয়বারের মতো এই নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে ১৮০ ডলার জরিমানা করা হবে।
এমন সময় ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা এক ছাত্র জিজ্ঞেস করল, পুরো বছরের জন্য গেট পাস নিতে কত লাগবে?

আমার নাম মালেক কিন্তু বন্ধুরা আদর করে আমাকে মালেকা বলে ডাকে!!

হাইওয়ে তে বাসে এক দুধুর্ষ ডাকাত দল হামলা করেছে।
অনেক কে ধরে নানা প্রশ্ন করছে আর পছন্দ না হলে মেরে ফেলছে।
এক মহিলা কে ডাকাত সর্দার জিজ্ঞেস করলো "তোমার নাম কি?"
মহিলাঃ "মালেকা!!"
ডাকাত সর্দারঃ "আমার বোনের নাম ও মালেকা... যাও তোমাকে ছেড়ে দিলাম!!"
.
.
.
.
.
.
এর পরের বসা লোককে জিজ্ঞেস করলো,"তোমার নাম কি??"
লোকটি মিনমিন করে বললো "আমার নাম মালেক কিন্তু বন্ধুরা আদর করে আমাকে মালেকা বলে ডাকে!!"