কথা দিচ্ছি ভালো লাগবে , এমনই একটি লেখাঃ
অপেক্ষার পালা যেন আর শেষ হয় না।পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন এবং বোরিং কাজ হল অপেক্ষা করা।বসে বসে বাংলাদেশের যোগাযোগ বাবস্থার গুষ্টি উদ্ধার করছি...
"এই পেপার...এদিকে এসো..."মিষ্টি ডাকে ভাবনার ছেদ পড়ল।তাকিয়া দেখি ১৯-২০ বছরের এক মেয়ে।এই বিকালে কিসের পেপার ?? ও,এখন তো বিকালেও পেপার বের হয়।এক দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি।কতক্ষন তাকিয়ে ছিলাম জানি না...ট্রেনের হর্নে সম্বিত ফিরল।
বহু প্রতীক্ষিত ট্রেন।কিন্তু,আমার কি হল!কোন তাড়া নেই কেন...?সবাই তাড়াহুড়া করে ট্রেনে উঠছে।মেয়েটি সহ আরও তিন জন(সম্ভাবত মা-বাবা,ভাই) ট্রেনে উঠছে।আমিও দৌড় দিলাম। এই প্রথম চোখা-চোখি হল।নিরব সে চাহনি।মায়াভরা দু চোখে।
ঠিক আমার সামনের দু সারি পরের ছিটে মেয়েটি।কিছুটা হতাশ,তবে কয়েক স্টেশন পরে একটা সিট পেয়ে গেলাম মেয়েটির সামনের সিটে।ভাগ্য আজ প্রসন্ন,বলতে হয়! ট্রেন চলছে আর মাঝে মাঝে দেখছি তাকে।একটু পরে লক্ষ কলাম সে ও আমকে দেখছে।ট্রেন চলছে কোন এক গ্রামের ভেতর দিয়ে।রাত তখন প্রায় ১টা।ট্রেনের মৃদু আলোয় তার চেহারা আরও সুন্দর লাগছে।
সাহস করে এবার ইচ্ছা করে তার পায়ের পাতার উপর আমার পা দিয়ে হালকা স্পর্শ করলাম। কোনো reply নাই।কিসুক্ষন পর আবার দিলাম।কোনো reply নাই! ভয় পেয়ে গেলাম।কিছুক্ষন পর সে নিজেই স্পর্শ করল।তবে আগের মত জানালার দিকে তাকিয়ে।বাকিরা ঘুমাচ্ছিলো কিন্তু তারপরও কথা বোলতে সাহস হল না আর সেও বলল না।
ট্রেন আমার গন্তব্যে চলে এল।নামতে মন চাচ্ছিল না।তাকে ইশারা করলাম মোবাইল নাম্বার দেওয়ার জন্য।সে কিছু একটা লিখে একটা কাগজ ছুড়ে দিলো প্লাটফর্মের দিকে।ভিড় ঠেলে নামতে পারলাম।তবে বিপত্তি তার আগেই ঘটে গেল।কাগজটা কোথাই যে পড়ল তা বুজলাম না...
আমি দিক হারিয়ে ফেললাম,পুরো platform তন্নতন্ন করে খুজেও পেলাম না।হারিয়ে গেল আমার ক্ষনিকের ভালোবাসা।চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।
না এর পরে আজ ও তার দেখা পায়নি।আজও তাকে খুজি।সেই চেনা মুখ আর পায় না।মাঝে মাঝে মনে হয়,সে একদিন আমার লেখা পড়বে আর ফিরে পাবো তাকে।
আর পারছি না গুরু...
- সাদা শার্টের ছেলে।
(ক্ষণিকের ভালোবাসা)
No comments:
Post a Comment