১.আমার ফ্রেন্ড নুসরাত আমাকে নিয়ে সিএনজি তে করে তার এক ফেন্ড এর বাসায় আসল। তার ফেন্ড এর নাম বিয়াস। বিয়াস এর বয়ফেন্ডের সাথে তার ব্রেক আপ হয়ছে তাই তার মন খারাপ। তাই নুসরাত এল তাকে কিছুটা সান্তনা দিতে। নুসরাত ও বিয়াস কিছুক্ষণ কথা বলল। তারপর বিদায় বেলা বিয়াসের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিল।
২.তার ই কিছুদিন পর আমার সাথে বিয়াসের দেখা হয় এক শপিং মলে। দুজন ই শপিং শেষে বের হইতে ছিলাম। আমাদের বাসা এক রোডেই ছিল তাই এক টা রিকসা করে দুইজনেই বাসায় আসার সিধান্ত নিলাম। রিকসায় বসে হালকা পাতলা কিছু কথা হল।
৩. পরদিন ক্যম্পাসে দেখি বিয়াস। আমি আর নুসরাত ক্লাশের পর দাড়িয়ে ছিলাম। নুসরাত শপিং এ যাবে বিয়াস কে নিয়ে। আমি তাদের কে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসব ভাবলাম। হঠ্যাত্ বিয়াস বলল তুমি ও চল। নুসরাত বলল কিরে যাবি? আমার যাবার ইচ্ছা ছিল না। তবুও বেশ কয়েকবার তারা বলল তাই রাজি হয়ে গেলাম। তিন জন ই পায়ে হেঁটে গেলাম।
৪. ঐ দিন ই রাতে আমার ফোনে একটা মেসেজ আসল লেখা- HI. আমি দেখলাম আননোন নাম্বার ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে দেখি বিয়াস। বললঃ সরি মেসেজ পাঠালাম রাগ কর নায় তো এসব কিছু। যাই হোক মিনিট ৫ এর মত কথা হল। পরদিন ভার্সিটিতে যাবার পর নুসরাত বলল বিয়াস তর নাম্বার নিছে ফোন দিছে কিনা জানতে চাইল। আমি বললাম,হুম।
৫. এভাবে প্রতিদিন ই আমার সাথে বিয়াসের কথা হত। আস্তে আস্তে আমাদের রিলেশন টা ক্লোজ হতে লাগল। ওর আগের রিলেশনের কথা হত। নানা কথা হত। এভাবে বেশ কিছু দিন যাবার পর বিয়াস নুসরাতের মাধ্যমে আমাকে প্রোপজ করে। আমি কিছু দিনের সময় নেই। তখন আমাদের মাঝে কথা হত না। ২ দিন পর আমি নুসরাত কে ফোন দিয়ে ওকে হ্যাঁ বলার জন্য বলি। তার কিছুক্ষণ পর ই বিয়াস আমাকে ফোন করে। শুরু হয় আমার জীবনের মিষ্টি একটি অধ্যায়। বিয়াস আমাকে অনেক কেয়ার করত। তখন ভাবতাম ভাল ই তো আগে কেন কারো সাথে কোন রিলেশন ক্রিয়েট করি নাই।
৬. যাক ভালবাসা যে সত্য ই এত মিষ্টি তখন মনে হত। ৪ মাস কেটে গেল। তখন দেখতাম বিয়াস ঠিক আগের মত আমার সাথে কথা বলে না। আমার সাথে বের হতে চায় না। ক্যান জানি আমাকে এভয়েট করতে চায়। আমি তাকে কোন পবলেম হল কিনা জানতে চাইতাম সে বলল না কোন পবলেম না। হঠ্যাত্ একদিন তার ফোন বন্ধ পেলাম। আমার তখন ৯ম সেমিস্টার চলছিল। পরীক্ষা চলছে। আমি নুসরাত কে ফোন দেই কিরে বিয়াসের কি হয়ছে ওর ফোন ওফ। নুসরাত বলল, আমি কিছু জানি না। পরীক্ষায় মাঝেই তার বাসায় গেলাম নুসরাত কে নিয়ে। আমি তাকে বললাম তোমার কি হয়ছে তোমার ফোন অফ ক্যান? বিয়াস বলল তার শরীর ভাল না। কাল বিকালে আমার সাথে নাকি বাইরে দেখা করবে।
৭. পরদিন পরীক্ষা দিয়ে ওর সাথে দেখা করতে যাই। গিয়ে দেখি ও আসে নাই। ফোন দিলাম কই তুমি? বলল ওয়েট কর আসছি। কিন্তু এর আগে যতবার তার সাথে দেখা করতাম সে অনেক আগে আসত। যাই হোক ২০ মিনিট পর ও আসল। পরীক্ষা দিছি অনেক খিদা পেটে কিন্তু কোন কিছু খায় নি দুজন এক সাথে খাব। কিন্তু ও এসে তারাহুড়ো করতে লাগল। ও বলল, আমার নাম টা বলে শোন আমার পক্ষে রিলেশন টা রাখা সম্ভব না। এটা শোনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। আমি বললাম, ক্যান আমাদের মাঝে কি এমন হয়ছে যে রিলেশন রাখা যাবে না? ও বলল, ওর আগের বয়ফেন্ড ওর কাছে অনেক সরি টরি বলছে। তাছাড়া ও আমার প্রথম প্রেম তো তাই আমি তার প্রতি অনেক দুর্বল। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও এ বলে সে চলে এল। আমি শুধু ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম সে কিভাবে কথা গুলো বলতে পারল। রাতে আমি তাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিলাম বিয়াস তুমি ও কিন্তু আমার প্রথম প্রেম ছিলে। তাই তোমার প্রতি আমার প্রাপ্তিটা কতটুকূ। পরে আর বাকি পরীক্ষা গুলো দেয়া হয় নি। ফেল করে ঐ সেমিস্টার বসে ছিলাম।
শেষকথা - প্রেমে যখন পড়েছিলাম তখন ভালবাসা কে অনেক মধুর মনে হত। কিন্তু সব কিছু হারিয়ে দেখলাম ফলাফল শূন্য। তবুও প্রেম সত্য ই অনেক মধুর।
আমার আর বিয়াসের ৪ মাসের ভালবাসার শেষ পরিনাম নুসরাতে সাথে বিয়াসের ৬ বছরের ভাল একটা বন্ধুতের পরিসমাপ্তি।
No comments:
Post a Comment